গত মঙ্গলবার মামলাকারী কাশীপুরের ওই দম্পতি হাই কোর্টে ‘টেস্ট টিউব বেবি’র জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ৩০ বছরের বৈবাহিক জীবনে তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি। তবে উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান নিতে চান তাঁরা। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবনের থেকে মিলছে না অনুমতি।
কেন স্বাস্থ্য ভবনের থেকে অনুমতি প্রয়োজন ছিল? ‘টেস্ট টিউব বেবি’র জন্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ‘পিএইচএস ফার্টিলিটি ক্লিনিকে’ যান ওই দম্পতি। কিন্তু ক্লিনিকের তরফে জানানো হয়, নিয়ম অনুযায়ী স্বামীর বয়স যা থাকা প্রয়োজন, তার তুলনায় বেশি। তাই স্বাস্থ্য ভবন থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে আসতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী, অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজির মাধ্যমে সন্তান নিতে চাইলে পুরুষের বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৫৫ বছর। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স হবে ৫০ বছর। কিন্তু কাশীপুরের দম্পতির ক্ষেত্রে স্বামীর বয়স ৫৮। তাই স্বাস্থ্য ভবন অনুমতি দিতে নারাজ ছিল।
হাই কোর্টে মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী অচিন জানার আবেদন, তাঁর মক্কেল আর্থিক ভাবে সমর্থ। সন্তান মানুষ করার ক্ষেত্রে যা যথেষ্ট। এ ব্যাপারে তাঁরা মানসিক ভাবে দীর্ঘ দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছেন। বয়স কখনও সমস্যা হবে না। শুক্রবার ক্লিনিকের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী সুমন চক্রবর্তী। সওয়াল-জবাবের পর বিচারপতি সিংহ দম্পতিকে ‘টেস্ট টিউব বেবি’ নেওয়ার অনুমতি দিলেন। হাই কোর্টের নির্দেশে খুশি কাশীপুরের দম্পতি।