চলতি বছর এমনিতেই রাজ্যে আলুর দাম বেশ চড়া। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি ভিন্রাজ্যে আলু ‘রফতানি’র ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো নবান্নে সরকার পক্ষের সঙ্গে আলু ব্যবসায়ীরা বৈঠকও করেছিলেন। বৈঠকের পর সরকার এবং ব্যবসায়ী দু’পক্ষই আলুর দাম কমাতে উদ্যোগী হয়। তাতে বাইরের রাজ্যে আলু পাঠানোর ক্ষেত্রে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিলও হয়েছিল। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সম্প্রতি আবার নতুন করে কড়াকড়ি চালু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার হুগলির তারকেশ্বরে আলু ব্যবসায়ী সমিতি ভবনে হিমঘর মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে যৌথ বৈঠক শেষে আগামী সপ্তাহের শুরু থেকেই রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্নার নির্দেশ অনুযায়ী কিলো প্রতি ২৬ টাকা দরে কলকাতা-সহ সংলগ্ন বাজারগুলিতে আলু সরবরাহের ফলে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছিল আলুর দর। কিন্তু তার পরেও গত তিন চার দিন ধরে ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ় ও অসম সীমান্তে আলুর ট্রাক আটকে দিচ্ছে এ রাজ্যের পুলিশ। আলুবোঝাই ট্রাকের চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এই অবস্থায় আমরা ব্যবসা করতে পারছি না। হিমঘর থেকে আলু নামিয়ে তা বাজারে বিক্রি করতে পারছি না। এরই প্রতিবাদে আমরা বাধ্য হয়ে সোমবার রাত থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। আশা করছি রাজ্যের সরকার আমাদের অবস্থা বিবেচনা করে সোমবারের আগেই সদর্থক পদক্ষেপ করবে।’’