নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের মামলায় ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি কুন্তলকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে টাকা তোলার অভিযোগের পাশাপাশি, হিসাব-বহির্ভূত বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও ছিল কুন্তলের বিরুদ্ধে। এর পর নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় কুন্তলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। প্রায় ২২ মাস ধরে জেলে ছিলেন তিনি।
সিবিআইয়ের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, টেট-এ ফেল করা প্রার্থীদের যোগ্য প্রমাণ করতে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করেছিলেন কুন্তলেরা। অবিকল আসল ওয়েবসাইটের মতো দেখতে ছিল সেই ভুয়ো ওয়েবসাইট। এমনকি, দুর্নীতি যাতে নজর এড়িয়ে যায়, সে জন্য ভুয়ো ইমেল আইডি থেকে অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের মেল পাঠিয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হত। কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্ব ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’কে দেওয়া হয়েছিল বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করে সিবিআই।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে কুন্তলের মামলার তদন্তের ‘স্টেটাস’ বা অগ্রগতি জিজ্ঞাসা করেছিল। কত দিন কুন্তলকে জেলে থাকতে হবে, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে। কুন্তলদের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল, মামলার তদন্ত চলছে। এর মাঝে তাঁরা ছাড়া পেলে এই সংক্রান্ত প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। এই দুর্নীতিতে সেতু হিসাবে কাজ করেছেন কুন্তল এবং অন্য এক অভিযুক্ত নীলাদ্রি ঘোষ। তবে গত মে মাসে নীলাদ্রিকে কলকাতা হাই কোর্ট জামিন দিলেও খারিজ করেছিল কুন্তলের আবেদন। এর পর জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কুন্তল।