হলঙে ঐতিহ্যবাহী বনবাংলো আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর ওই জায়গাতেই একই ধাঁচে আবার নতুন করে একটি বনবাংলো তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতার হস্তক্ষেপ দাবি করেছিল উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন। উত্তরবঙ্গের অন্যতম পর্যটন সংগঠন ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে সেই দাবি জানিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠিতে বনবাংলো পুনর্নির্মাণের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছিল। তাঁদের দাবি ছিল, হলং বনবাংলো উত্তরবঙ্গের অন্যতম ‘হেরিটেজ’ বাংলো ছিল। এ বছর ১৮ জুন বিধ্বংসী আগুনে তা পুড়ে গিয়েছে। পুরনো নির্মাণশৈলী, নকশার আদলেই তা তৈরির আবেদন জানানো হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, নকশা অনুমোদনের জন্য উত্তরবঙ্গের ওই সংগঠনটির দাবির কথাও মাথায় রাখছে নবান্ন।
ষাটের দশকের শেষের দিকে তৈরি বাংলোর কাঠের শরীরে জড়িয়েছিল আভিজাত্য। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু থেকে শুরু করে বিচারপতি— গণ্যমান্য অতিথিদের পছন্দের গন্তব্য ছিল হলং বাংলো। সেই বাংলো আবার নতুন করে তৈরি হচ্ছে। ডুয়ার্সের জয়ন্তী বাংলোও পুড়ে গিয়েছিল। সেখানে কংক্রিটের নতুন বাংলো হয়েছে। সে বাংলোকে ঘিরে নানা বিতর্কও হয়েছে। পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, নদী-জঙ্গল-চারপাশের ভারসাম্য রাখতে ফিরিয়ে দেওয়া হোক কাঠের বাংলোটি। গভীর অরণ্যে হলং বাংলোটিও ফের কাঠেরই তৈরি হবে সেটাই কাম্য। বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা বলেছেন, ‘‘আমাদের দফতর থেকে চারটি নকশা পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। সেখান থেকে অনুমোদন এলেই আমরা কাজ শুরু করে দেব। সব ক্ষেত্রেই পরিবেশের কথা মাথায় রাখব আমরা।’’