• Indian Air Force: বদলাচ্ছে যুদ্ধের চরিত্র, নয়া অস্ত্র বিভাগ খুলছে বায়ুসেনা
    এই সময় | ০৮ অক্টোবর ২০২২
  • শুধু ফাইটার বা বম্বার নয়। আগামীদিনে যুদ্ধে বড় ভূমিকা নেবে ড্রোন। মানববিহীন যান কীভাবে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাত। সেই আবহে এবার নিজেদের আরও সংঘবদ্ধ করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ‘Weapon System Branch’ বা ‘অস্ত্র বিভাগ’ নামে নতুন শাখা খুলতে চলেছে এয়ারফোর্স। শুক্রবার বায়ুসেনা দিবসে নতুন এই বিভাগ খোলার কথা ঘোষণা করেন এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী। তাঁর দাবি, এর ফলে আরও শক্তিশালী হবে বায়ুসেনা। পাশাপাশি, সরকারের ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলেও দাবি করেছেন বায়ুসেনা প্রধান। প্রসঙ্গত, বর্তমানে বায়ুসেনায় তিনটি বিভাগ রয়েছে। ‘Weapon System Branch’ চালু হলে বিভাগের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে চার।

    Weapon System Branch কী?

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, নতুন এই Weapon System Branch বা অস্ত্র বিভাগে থাকবে মোট চারটি উপবিভাগ। এগুলি হল — ফ্লাইং, রিমোট, ইনটেলিজেন্স এবং সারফেস। দুই আসন বিশিষ্ট ফাইটার বা লড়াকু হেলিকপ্টারে মিসাইল বা গোলা লোডিং-আনলোডিংয়ের কাজ করবেন ফ্লাইং বিভাগের কর্মীরা। রিমোটের হাতে থাকবে ড্রোন অপারেশনের ক্ষমতা। ইনটেলিজেন্সের কাজ হবে শত্রুর গোপন তথ্য বিশ্লেষণ। এছাড়াও এই উপবিভাগ সিগনাল অপারেটিং এবং মহাকাশে মিসাইল হামলারও কাজ করবে। অন্যদিকে রাশিয়ার তৈরি ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’-র মতো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অপারেট করবে সারফেস উপবিভাগ। ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও নিয়ন্ত্রণ করবে বায়ুসেনার এই উপবিভাগ।

    কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    এই ইস্যুতে এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী বলেন, “প্রতি নিয়তই যুদ্ধের চরিত্র বদলাচ্ছে। সেই কারণেই নতুন নতুন পরিকল্পনার প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। সেই জায়গা থেকেই এই বিভাগ তৈরি করা হচ্ছে।” সেনার আধুনিকীকরণ এবং তিন সেনার মধ্যে সমন্বয়ের জন্য চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস পদ তৈরি করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। দেশের দ্বিতীয় সিডিএস হিসেবে কাজ যোগ দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান।

    বায়ুসেনায় রয়েছে আরও তিন বিভাগ

    এতোদিন পর্যন্ত বায়ুসেনায় তিনটি বিভাগ ছিল। এগুলো হল – ফ্লাইং, টেকনিক্যাল এবং গ্রাউন্ড ডিউটি। ফাইটার জেট, মালবাহী বিমান বা কপ্টার ওড়ানোর প্রশিক্ষণ দেয় ফ্লাইং বিভাগ। প্রযুক্তিগত সহায়তা সরবরাহ করাই টেকনিক্যাল বিভাগের কাজ। অন্যদিকে গ্রাউন্ড বিভাগই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও বায়ুসেনার প্রশাসনও নিয়ন্ত্রণ করে এই গ্রাউন্ড বিভাগ।
  • Link to this news (এই সময়)