• বিবেচনা করা হবে দুটো বিষয়, সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা
    আনন্দবাজার | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে বেশ কিছু ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) উদ্ধার করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী। তাঁর সওয়াল, ওই সমস্ত ওএমআর শিটের বৈদ্যুতিন তথ্যের ৬৫বি এভিডেন্স আইন অনুযায়ী যাচাই করার কোনও শংসাপত্রও নেই। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, এই বিষয়টি গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই। হাই কোর্টে বিষয়টি বলা হয়েছিল। হাই কোর্ট বিবেচনা করেই রায় দিয়েছে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘অহেতুক একাধিক বিষয় ঢুকিয়ে জটিলতা বৃদ্ধি করবেন না। অত্যন্ত লিমিটেড ইস্যু। তা নিয়েই শুনানি হবে।’’

    গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ওই রায় দেয়। তার ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশও। গত বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, পরবর্তী শুনানিতে মামলার সঙ্গে যুক্ত সকল পক্ষকে উপস্থিত থেকে বক্তব্য জানাতে হবে। স্থির হয়ে পরের শুনানি হবে ১২ ডিসেম্বর।

    কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিলের পাশাপাশি যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছিল ওই চাকরিপ্রাপকদের। সেই বিষয়গুলিও সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনা হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। পরের শুনানিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, তাঁর বেঞ্চ আগে চাকরি বাতিল মামলার সঙ্গে যুক্ত পাঁচ পক্ষ— রাজ্য, এসএসসি, সিবিআই, মূল মামলাকারী এবং যাঁদের চাকরি নিয়ে বিতর্ক, তাঁদের বক্তব্য শুনবে। তার পরেই এ ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশ দেবে। তার পরে একাধিক বার শুনানির দিন বদলেছে। বৃহস্পতিবার আবার পিছিয়ে দেওয়া হল শুনানি।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)