আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআই সময়ে চার্জশিট দিতে না-পারায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের জামিনের প্রতিবাদে শনিবারই কলকাতায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল এসএফআই। এর পরে ‘নির্যাতনের বিচার চাই, স্বৈরাচারের ক্ষমা নাই’, এই স্লোগানকে সামনে রেখে মঙ্গলবার এসএফআই, ডিওয়াইএফআই এবং গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির যৌথ প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা এসএফআই-ও আজ, সোমবার সোদপুর ট্র্যাফিক মোড় থেকে ‘জাস্টিস মার্চ’-এর ডাক দিয়েছে, যা শেষ হবে পরদিন বারাসতে। নবদ্বীপে এ দিন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ‘সব অংশের মানুষকে নিয়ে’ লড়াইয়ের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশিই দাবি করেছেন, “যত অপরাধ, অন্যায়ই হোক না কেন, আরএসএস এবং নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে দিদিই (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) শেষ কথা। বিজেপির এখানে মমতাকে দরকার। মমতাও চান বিজেপি কেন্দ্রে থাকুক। শুভেন্দু অধিকারী সাজানো বিরোধী! কিছুই করতে পারবেন না। পুতুলনাচের চরিত্র!”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারেরও বক্তব্য, “রাজ্য এবং কেন্দ্র যাঁরা চালাচ্ছেন, তাঁরাই আবার বিচার চাইছেন! এর জন্যই বিচারের বাণী নীরবে নিভৃত কাঁদছে।” আগামী ১৮ ডিসেম্বর যুব কংগ্রেস ‘নেশা নয়, চাকরি চাই’ স্লোগান দিয়ে রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে। এআইসিসি-র নির্দেশে মণিপুরে হিংসা এবং আদানি-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি আর জি করে বিচারের দাবিও সেখানে তোলার কথা বলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে আজ রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে এসইউসি-র ছাত্র সংগঠন ডিএসও। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়ের বক্তব্য, “সিবিআইয়ের চার্জশিট না দিতে পারা শুধু মানুষের আস্থার উপরে চরম অপমানই নয়, এটা ক্ষমতাসীন সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলির আঁতাঁতকেই স্পষ্ট করছে।”