প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তা যাচাই কমপ্লেন বক্স ও কন্ট্রোল রুম সংক্রান্ত প্রচারে খামতি নিয়ে ক্ষুব্ধ নবান্ন
বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আবাস যোজনার উপভোক্তা যাচাই নিয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। ২০১৮ সালে তৈরি হওয়া তালিকায় নাম ছিল ৪৯ লক্ষ উপভোক্তার। সেখান থেকে প্রকৃত উপভোক্তা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। এই ঝাড়াই বাছাই পর্ব চলাকালীন আবাস যোজনা নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা জমা দিতে পারবেন রাজ্যের কাছে। যার জন্য বিডিও, এসডিও এবং জেলাশাসকের অফিসে আগেই পৃথক ‘কমপ্লেন বক্স’ বসানো বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে নবান্ন। একই সঙ্গে প্রতিটি এসডিওর অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তাতেও অবশ্য মেলেনি আশানুরূপ ফল। এতেই বেজায় চটেছেন রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্তারা। বৃহস্পতিবার প্রতিটি জেলাকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে যে অভিযোগ জানানোর এই ব্যবস্থা সম্পর্কে যথেষ্ট প্রচার করা হয়নি। যার ফলে মানুষ অভিযোগ জানাতে পারেননি। একই সঙ্গে যে সামান্য অভিযোগ এসেছে, তার নিষ্পত্তির হারও বেশ কম। আবার কন্ট্রোল রুমগুলিতে পর্যাপ্ত লোকও নিযুক্ত করা হয়নি। ফলে সম্ভব হয়নি প্রত্যেক উপভোক্তাদের ফোনের প্রত্যুত্তর দেওয়া। এই আবর্তে কমপ্লেনবক্স এবং কন্ট্রোলরুম নিয়ে প্রচার বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি জেলাকে। সহজেই সকলের নজরে আসে এমন জায়গায় রাখতে হবে কমপ্লেন বক্সগুলি। প্রতিটি কন্ট্রোলরুমে ১৫ থেকে ২০ জনকে নিযুক্ত করতে হবে। যাতে তালিকায় নাম থাকা প্রতিটি উপভোক্তাকে ফোন করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাচাইয়ের কাজ শেষ করা যেতে পারে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাইয়ের পাশাপশি ফোন করেও উপভোক্তাদের যোগ্যতা যাচাই করা হচ্ছে। কন্ট্রোল রুম এবং কমপ্লেন বক্স সংক্রান্ত বিষয় দেখার জন্য একজন করে উচ্চপদস্থ আধিকারিককেও নিযুক্ত করতে হবে।
একই সঙ্গে কত অভিযোগ এল এবং কত নিষ্পত্তি হল, সেই রিপোর্ট জেলাশাসকের অফিস থেকে প্রতিদিন পঞ্চায়েত দপ্তরে পাঠানোটা বাধ্যতামূক করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, আবাস যোজনার যাচাইয়ের কাজে গিয়ে ঘুষ চাওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে সন্দীপ ভুঁইয়া নামে এক প্রাণীবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই খবরও এসেছে নবান্নে। বুধবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যাচাই পর্বে কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা বরদাস্ত করা হবে না।