• গুজরাতে ঐতিহাসিক জয়ের পথে বিজেপি বিরোধী ভোটে আপের প্রহার
    বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • আহমেদাবাদ: ওপিনিয়ন পোলে আভাস মিলেছিল আগেই। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখেই ঐতিহাসিক মার্জিনে গুজরাতে জিততে চলেছে বিজেপি।  ফলাফল প্রকাশ হতেই গেরুয়া ঝড়ে কংগ্রেস সহ বাকি বিরোধী দল কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ।  এই নিয়ে মোদির রাজ্যে টানা সপ্তমবার গুজরাতে সরকার গঠন করতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এই মুহুর্তে ১৮২ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১৫৩টি আসনে। কংগ্রেস কোনওক্রমে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাঁরা এগিয়ে ১৮টি আসনে। পরিস্থিতি এমন এখন তাদের বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা মেলাও অনিশ্চিত।  অন্যদিকে প্রথমবার গুজরাতে লড়তে নেমে ৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে আম আদমি পার্টি। প্রচারের সময় সরকার গঠনের দাবি করলেও দুই সংখ্যাও পার করতে পারেনি কেজরিওয়ালের দল। তবে বিরোধী ভোটের একটা বড় অংশে ভাগ বসাতে পেরেছে তারা। আপের ভোট শতাংশ প্রায় ১৩%।  প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে ৫২ শতাংশ জনতার সমর্থন পেয়ে বিজেপির সরকার গঠন এখন সময়ের অপেক্ষা।  গুজরাতে জয়ের নিরিখে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল।  বিশেষজ্ঞদের মতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের লাগাতার প্রচার, প্যাটেল জাতির একজনকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো, হার্দিক প্যাটেল সহ পাতিদার নেতাদের দলে অন্তর্ভুক্তি, আপের বিরোধী ভোটে ভাগ বসানো তথা ধর্মীয় মেরুকরণই বিজেপিকে এই ঐতিহাসিক জয় এনে দিয়েছে। সূত্রের খবর, এই জয়ের পর আজ রাত আটটায় দিল্লির বিজেপি দপ্তর থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।  তবে বিজেপির টানা সপ্তমবারের এই জয় আরও একবার কংগ্রেসের বিজেপিকে টক্কর দেওয়ার যোগ্যতার ওপর প্রশ্ন তুলে দিল। অনেকে মনে করছেন জাতীয় স্তরে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি বিকল্প জোট তৈরি করার এটিই মোক্ষম সময়।  কংগ্রেসেরও সেই বিরোধী জোটকে সমর্থন করার বিষয়ে পর্যালোচনা করা উচিৎ।
  • Link to this news (বর্তমান)