• মৃত্যুদণ্ড ইরানে! হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে সামিল হওয়ার অপরাধে এই প্রথম...
    ২৪ ঘন্টা | ০৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এই প্রথম এগজিকিউশন হল ইরানে। অন্তত প্রকাশ্য খবর তেমনই। সেপ্টেম্বর থেকে ইরান অশান্ত। গত কয়েকমাস ধরেই মাশা আমিনি কাণ্ডে উত্তাল ইরান। মোশেন শেকারি (২৩)কে এই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। তাঁর বিরুদ্ধে ইরান পুলিশের অভিযোগ-- তিনি রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, শুধু তাই নয়, এক প্যারামিলিটারি কর্মীকে আহত করেছেন। কিন্তু, মোশেন শেকারিই শেষ বা একমাত্র নন, বরং তাঁকেই দিয়েই হয়তো শুরু হল। ইরান সরকারের যতটুকু তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে বলা যায়, অন্তত পক্ষে আরও জনাবারো এই লাইনে আছেন। তাঁদেরও হতে পারে এগজিকিউশন। 

    আরও পড়ুন: 

    এর আগে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেনি-ইজেই জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক অতীতে গণ-বিক্ষোভের ঘটনায় যেসব বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল সেইগুলি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ‘দ্রুত কার্যকর করা হবে’। একটি রিপোর্টে এই খবর জানানো হয়েছিল। ঠিক কখন এই শাস্তি কার্যকর করা হবে তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। তবে বলা হয়েছে, প্রতিবাদকারীদের প্রতি দেশের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলির ‘ধৈর্য্য’ ‘অসীম নয়’ এবং যাঁরা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার হুমকি দিচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ‘আইন অনুসরণ করবে এবং শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করবে’। তারও আগে, প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ইরানের কর্তৃপক্ষ পাঁচজন অজ্ঞাত প্রতিবাদীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এরা সকলেই পুরুষ। তাদেরকে ‘ঈশ্বরের বিরুদ্ধে শত্রুতা’ এবং ‘দুর্নীতি’-র জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

    রাষ্ট্রসংঘের হাইকমিশনারের মানবাধিকার কার্যালয় বলেছিল, ২৯ অক্টোবর আট জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড হয় এমন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে যে অন্তত ২১ জন বিক্ষোভকারী, যার মধ্যে একজন মহিলা রয়েছে, তাদের মৃত্যুদণ্ড হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ইরান হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে এবং বিক্ষোভ দমন করতে পাঠানো নিরাপত্তা বাহিনী শিশু, কিশোর এবং মহিলা-সহ শত শত মানুষকে হত্যা করেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

     

     
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)