• Adhir Ranjan Chowdhury : 'আমরা বিরোধী...', পুজো কার্নিভ্যালে আমন্ত্রণ না পেয়ে ক্ষুব্ধ অধীর
    এই সময় | ০৯ অক্টোবর ২০২২
  • Adhir Ranjan Chowdhury On Durga Puja Carnival : দুর্গাপুজোকে (Durga Puja) হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেসকো। আর তার জেরেই এ বছর কলকাতার আদলে রাজ্যের সব জেলাতেই পুজোর কার্নিভ্যাল করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই মতোই শুক্রবার কার্নিভ্যাল পালিত হয় সব জেলাতেই। বর্ণাঢ্য সেই শোভাযাত্রা দেখতে ভিড় করেছিলেন বহু মানুষ। ওই দিন বহরমপুরের এফইউসি মাঠেও দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু, সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে অধীর চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এদিকে প্রশাসনের সেই দাবি মিথ্যে বলে জানিয়ে দিয়েছেন অধীর।

    কার্নিভ্যালে আমন্ত্রণ পাননি অধীর

    শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্নিভ্যালে আমন্ত্রণ না পাওয়া প্রসঙ্গে অধীর বলেন, "আমরা মিথ্যের রাজনীতি করি না। জানি না কী করে জানানো হয়েছে। আমি একজন জনপ্রতিনিধি। কংগ্রেসের হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করি। আমরা ওই ভাবে মিথ্যে কথা বলি না। একজন সাংসদকে যখন আমন্ত্রণ জানানো হয় তখন তার একটা নথি থাকে। তা তারা দেখাতে পারবে না। না ফোন, না চিঠি, কোনও কিছুই নেই। এখানে ১৫ অগাস্ট, ২৬ জানুয়ারি কোনও কিছুরই ডাক পাই না। কারণ আমরা বিরোধী। ২৬ জানুয়ারিতে দিল্লিতে আমার জন্য আসন রাখা হয়। সেখানে আমার নাম লেখা থাকে। কিন্তু, আমার নিজের শহরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই ২৬ জানুয়ারিতে ডাক পাই না। যেতাম কি যেতাম না সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু, আমাদের তো আমন্ত্রণই জানানো হয়নি।"

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ অধীরের

    জলপাইগুড়ির মালবাজারে (Malbazar) বিসর্জনের সময় আচমকাই হড়পা বান আসে। আর তার জেরে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয় একাধিক জনের। এই ঘটনার পর কার্নিভ্যাল বন্ধ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন অধীর। তারপরও সেই কার্নিভ্যাল বন্ধ করা হয়নি বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। বলেন, "কার্নিভ্যাল বন্ধ করার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলাম। কার্নিভ্যাল খ্রিশ্চানদের উৎসব। দুর্গাদেবী বিসর্জন হয়ে গিয়েছেন। তাঁকে নিয়ে প্যারেড করানোর মানেটা কি? উদ্দাম আনন্দ তার সঙ্গে প্যারেড করছেন দেবী দুর্গা। এটা কি বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই? কার্নিভ্যালের সঙ্গে বাংলার দুর্গাপুজোর কোনও সম্পর্ক নেই। কার্নিভ্যাল একটা রাজনৈতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। যেখানে বিরোধীদের ডাকা হয় না। সেখানেও পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। মণ্ডপ নিয়ে প্রতিমা নিয়ে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে।"

    চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে অধীর

    চাকরিপ্রার্থীদের পাশে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন অধীর। তিনি বলেন, "চাকরিপ্রার্থীরা ভিক্ষে চাইছেন না। তাঁরা তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি চাইছেন। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী নির্বিকার। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন করার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। আসলে এই কার্নিভ্যালে তো অনেক ভিআইপিদের ডাকা হয়েছে। ফলে সেখানে যদি চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করেন তাহলে তা সবাই জানতে পেরে যাবেন। তাই সেই সব অন্ধকারকে ঢামাচাপা দেওয়ার জন্য কোনও ত্রুটিই রাখা হচ্ছে না। আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমরা ছিলাম ও থাকব।"
  • Link to this news (এই সময়)