• শিয়ালদহ আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা শনিবার সকাল থেকেই, পর পর ব্যারিকেড বসাল পুলিশ
    আনন্দবাজার | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • শিয়ালদহ আদালত চত্বরে শনিবার সকাল থেকেই কঠোর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে কলকাতা পুলিশ। পর পর ব্যারিকেড বসানো হয়েছে আদালত চত্বরে। আদালতে প্রবেশের মুখে রাস্তা থেকেই ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। দুপুরে আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। তার জন্য আদালত চত্বরে ভিড় করতে পারেন অনেকে। সেই কারণেই আগেভাগে এই নিরাপত্তা।

    গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার রায় ঘোষণা করতে চলেছেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁর এজলাস বসার কথা। এই ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকেই একমাত্র অভিযুক্ত বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তিনি এখন প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। অভিযুক্তকে শনিবার বেলায় আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে। তখন আদালত চত্বরে নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    পাঁচ মাস পরে আরজি কর মামলায় রায় ঘোষণা করবে আদালত। চার্জশিট জমা পড়ার পর গত ১১ নভেম্বর থেকে টানা বিচারপ্রক্রিয়া চলেছে। শিয়ালদহ আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে এই বিচারপ্রক্রিয়া চলছিল। আদালত ভবনের তিনতলার ২১০ নম্বর ঘরে শনিবার বিচারক দাসের এজলাস বসার কথা।

    আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন অভিযুক্তকে নিয়ে শিয়ালদহ আদালতে যাতায়াতের সময়ে একাধিক বার পুলিশের ভ্যান বাধার মুখে পড়েছিল। প্রিজ়ন ভ্যান থেকে চিৎকার করতেও শোনা গিয়েছিল অভিযুক্তকে। তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি নির্দোষ এবং তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

    আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হল থেকে গত ৯ অগস্ট উদ্ধার করা হয়েছিল চিকিৎসক তরুণীর মৃতদেহ। তার পরের দিনই কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল অভিযুক্ত সিভিককে। তাঁকে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গিয়েছে। পুলিশের হাত থেকে এই ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। কেন্দ্রীয় সংস্থা চার্জশিটে জানায়, সিভিকই এই ঘটনার একমাত্র অভিযুক্ত। তবে নির্যাতিতার বাবা-মা সেই তত্ত্ব মানতে নারাজ। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছেন বলে তাঁদের সন্দেহ। আদালতে তাঁরা জানিয়েছেন, এক জনের পক্ষে এই কাণ্ড ঘটানো সম্ভব নয়। সিবিআইয়ের আরও নিখুঁত এবং বিস্তারিত তদন্ত করা উচিত। তদন্তকারী সংস্থা অবশ্য আদালতে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছে।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)