দেশ জুড়ে পালিত হতে চলেছে সাধারণতন্ত্র দিবস। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সারা দেশেই বাড়তি নজরদারি শুরু হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তেও শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সে জন্য শহরের বিভিন্ন হোটেলেও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এ বারও কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে কলকাতার রেড রোডে। আজ সকাল থেকেই শহরের একাধিক রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। শান্তি বজায় রাখতে শহরে ২৩০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন। দিল্লিতেও মোতায়েন থাকবেন প্রায় ১৫ হাজার পুলিশকর্মী এবং ৭০ কোম্পানি আধাসেনা। নজরদারি বৃদ্ধি করা হচ্ছে সীমান্তেও।

আজ চিন সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। দু’দিনের সফরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন তিনি। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ভারতের বিদেশসচিবের চিন সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক-সহ একাধিক দিক থেকে দুই দেশের সম্পর্ক মজবুতির চেষ্টায় আলোচনা হতে পারে।

ঝাড়গ্রামে আবার বাঘের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। শুক্রবার বেলপাহাড়ি থানার কাঁকড়াঝোড় এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ মেলার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। বাঘের পায়ের ছাপ উদ্ধার হওয়ার পরেই বেলপাহাড়ির আমঝরনা, আমলাশোল এবং কাঁকড়াঝোড় এলাকায় মাইক প্রচার শুরু হয় বন দফতরের পক্ষ থেকে। শুধু তা-ই নয়, দ্রুত খবর ছড়িয়ে পড়ে বাঁকুড়ার বারিকুল থানার অন্তর্গত বাগডুবি গ্রামেও। বন দফতরের অনুমান, কয়েক দিন আগে যে বাঘটি এ রাজ্যের ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়ার জঙ্গল ঘুরে ঝাড়খণ্ডে ফিরে গিয়েছিল, সেই বাঘটিই আবার ফিরে এসেছে। তবে এ ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি। ওই বাঘের গতিবিধি এবং তাকে ধরতে বনকর্মীরা কী কী পদক্ষেপ করছে আজ নজর থাকবে সেই সংক্রান্ত খবরে।

আরজি কর-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে শিয়ালদহ কোর্ট। রায় ঘোষণার সময় বিচারক অনির্বাণ দাস জানান, এটা ‘বিরলের মধ্য বিরলতম’ নয়। আরজি কর মামলার রায় নিয়ে খুশি নয় সমাজের একাংশ। সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। পরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও মামলা করেছে হাই কোর্টে। আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁদের লড়াই থামবে না। অন্য দিকে, সঞ্জয়ের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের খালাস চেয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। নিম্ন আদালতের এই রায় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কোথায় পৌঁছয়, তা নজরে থাকবে আজ।

চেনা শীত তো দূরের কথা, ভরা মাঘ মাসেও ‘গরম’ অনুভূত হচ্ছে। চলতি মরসুমে জাঁকিয়ে শীত পড়তে দেখা যায়নি এখনও। স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা অন্তত চার ডিগ্রি বেশি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনে কিছুটা পারদপতনের সম্ভাবনা রয়েছে।