রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেই তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। ১২ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করা হবে। আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে এটিই হতে চলেছে রাজ্য সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। সে দিক থেকে রাজ্য সরকারের কাছে এ বারের বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এ বারের বাজেট অধিবেশনে তৃণমূল বিধায়কদের কী কী ভূমিকা থাকবে, অধিবেশনে কোন কোন বিষয়ের উপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, পরিষদীয় দলের বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন মমতা।

দলীয় নেত্রী হওয়ার পাশাপাশি মমতা বিধানসভায় তৃণমূলের পরিষদীয় দলের দলনেত্রীও। গত বছর বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের সময়ে পরিষদীয় দলকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেটি ছিল অধিবেশনের মাঝামাঝি একটি সময়ে। তবে এ বারে একেবারে শুরুর দিনেই দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক সেরে নেবেন মমতা। ১০ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় নৌশার আলি কক্ষে হবে এই সভা। তৃণমূলের সব বিধায়ককে ওই বৈঠকে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীও।

আগামী বছরে বিধানসভা ভোটের আগে যে বাজেটটি পেশ হবে, সেটি অন্তর্বর্তী বাজেট (ভোট অন অ্যাকাউন্ট)। ফলে এ বারের বাজেট অধিবেশনে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার পক্ষ। সূত্রের খবর, এ বারের বাজেটে ঘোষিত প্রকল্পগুলি আগামী এক বছর কী ভাবে এগোনো হবে, তা নিয়েও পরিষদীয় দলের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি দলীয় বিধায়কদের আচরণের বিষয়টিও উঠে আসতে পারে বৈঠকে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শো কজ় করেছে তৃণমূলের পরিষদীয় দল। গত বছরে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকেও শো কজ় করা হয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে, বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিনে দলীয় বিধায়কদের ফের এক বার শৃঙ্খলার পাঠ দিতে পারেন মমতা।

দলীয় সূত্রে খবর, পরিষদীয় দলের এই বৈঠকের পরে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে একটি সাংগঠনিক বৈঠকও হতে পারে। নেতাজি ইন্ডোরে ওই সভায় দলের নেতা-মন্ত্রী এবং বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিদের থাকার কথা। তবে বৈঠকের চূড়ান্ত দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি।