• দক্ষিণে কমেছে সম্পত্তিকর আদায়, অর্থাভাবে নাভিশ্বাস পুরসভার
    আনন্দবাজার | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে বাকি আর মাত্র দু’মাস। অথচ, গত অর্থবর্ষের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে সম্পত্তিকর সংগ্রহের পরিমাণে কলকাতা পুরসভার দক্ষিণ কলকাতা, টালিগঞ্জ ও গড়িয়া এলাকা অনেকটাই পিছিয়ে। পুরসভার কর-রাজস্ব দফতর সূত্রের খবর, এসি বা অ্যাসেসর কালেক্টর (সাউথ) বিভাগে গত অর্থবর্ষের ১ এপ্রিল থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত যে পরিমাণ সম্পত্তিকর জমা পড়েছিল, তার তুলনায় চলতি অর্থবর্ষের একই সময়ে সম্পত্তিকর আদায়ের পরিমাণ কমেছে ১২ কোটি ৮৯ লক্ষ ৭৩৬১ টাকা। আবার টিটিডি বা টলি ট্যাক্স বিভাগে (টালিগঞ্জ এলাকা) গত অর্থবর্ষের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে সম্পত্তিকর জমা পড়েছে ৪ কোটি ৭৭ লক্ষ ৩৪৩২৬ টাকা কম। আবার গড়িয়া এলাকায় গত অর্থবর্ষের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে ৩৩ লক্ষ ৮৩০২৪ টাকা কম জমা পড়েছে।

    পুরসভার কোষাগারের অবস্থা এমনিতেই সঙ্গিন। গত বছরের মার্চ থেকে অবসর নেওয়া পুরকর্মীরা এখনও অবসরকালীন থোক টাকা (গ্র্যাচুইটি ও কমিউটেশন) থেকে বঞ্চিত। গত দু’বছর ধরে পুরসভার কাছে ঠিকাদারদের বকেয়া রয়েছে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি। পুরসভার আয়ের বেশির ভাগটাই আসে সম্পত্তিকর থেকে। পুরসভার সমস্ত এলাকার হিসাব ধরলে গত অর্থবর্ষের ১ এপ্রিল থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে যে পরিমাণ সম্পত্তিকর আদায় হয়েছিল, তার তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে সম্পত্তিকর বাবদ আয় বেড়েছে মাত্র ২১ কোটি ২৬ লক্ষ ৩৬০৭৮ টাকা। যদিও এই আদায়ে সন্তুষ্ট নন পুরসভার আধিকারিকেরা।

    এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘সম্পত্তিকর বাবদ কয়েক হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বড় অঙ্কের করখেলাপিরা দীর্ঘ দিন ধরে সম্পত্তিকর দিচ্ছেন না। যার ফল ভুগতে হচ্ছে পুরসভাকে।’’ গত কয়েক বছরে পুরসভার আয়ের তুলনায় খরচের বহর বেড়েছে। রাজ্য সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খরচও বহন করতে হয় পুরসভাকে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আগামী দিনে পুরকর্মীদের বেতন দেওয়াই চ্যালেঞ্জ পুরসভার কাছে।

    পুরসভা সূত্রের খবর, সেখানে স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যাও প্রায় সমান। স্থায়ী কর্মীদের বেতনের ৮৫ শতাংশ দেয় রাজ্য। বাকি বহন করে পুরসভা। তবে, অস্থায়ী কর্মীদের বেতনের পুরোটাই বহন করে পুরসভা। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘অবসর নিতে নিতে স্থায়ী কর্মীদের সংখ্যা অর্ধেকে ঠেকেছে। তুলনায় অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। তাঁদের বেতন দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’’

  • Link to this news (আনন্দবাজার)