নারকেলডাঙার বস্তিতে আগুন। শনিবার রাতে খালপাড়ের পাশের বস্তিতে আচমকা আগুন লেগে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে বিস্তীর্ণ এলাকা। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। পরে আগুন বেশি ছড়িয়ে পড়লে আরও ছ’টি ইঞ্জিন আনা হয়। অবশেষে দমকলকর্মীদের প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। কী ভাবে আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
দমকল সূত্রে খবর, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ নারকেলডাঙার বস্তিতে আচমকা আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে ওই বস্তির একাধিক ঝুপড়ি। মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে যায় আকাশ। ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে ৩০-এরও বেশি ঘর। রাস্তার ধারে থাকা একটি পিকআপ ভ্যান এবং ট্রাকেও আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের মোট ১৬টি ইঞ্জিন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। প্রায় চার ঘণ্টা পর রাত ২টো ১০ নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। স্থানীয় মানুষেরাও উদ্ধারকাজে দমকলকর্মীদের সাহায্য করেন।
স্থানীয়দের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। পুড়ে গিয়েছে ওই বস্তির একাধিক ঝুপড়ি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছু ঝুপড়িও ভাঙা হয়েছে। এই ঘটনায় রাতারাতি ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। কী ভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও দমকলবাহিনী।
পর পর শহরের বস্তিতে আগুন লাগার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি পশ্চিম কলকাতায় জোকার কাছে ডায়মন্ড হারবার রোডের ধারে ঝুপড়িতে আগুন লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে ঝুপড়িতে আগুন ধরতে দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দমকলকর্মীদের প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর দুর্গাপুর সেতুর নীচের বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুড়ে গিয়েছে ওই বস্তির একের পর এক ঝুপড়ি। প্রথমে স্থানীয়েরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন।
আলিপুরের অগ্নিকাণ্ডের আগের দিন, অর্থাৎ গত বছরের ২০ ডিসেম্বর তপসিয়ার এক বস্তিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। শতাধিক ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।