রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের শরৎকালীন অধিবেশনের গত কালই ছিল শেষ দিন। রাশিয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগ নিয়ে ভোটদান ছিল সেখানে। একমাত্র হাঙ্গেরি ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি সদস্য দেশগুলি রাশিয়ায় মানবাধিকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অবিলম্বে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল। তাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার কাউন্সিলের ১৭টি সদস্য দেশ খসড়ার পক্ষে সায় দেয়। খসড়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে চিন, বলিভিয়া, কিউবা, এরিট্রিয়া, কাজ়াখস্তান, ভেনেজ়ুয়েলা। ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে ভারতের মতো ২৪টি দেশ।
আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভুক্ত দেশগুলির অভিযোগ, বিরোধী দল, বেসরকারি সংবাদমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে বহু আগে থেকেই দমননীতি নিয়ে এসেছে মস্কো। কিন্তু ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে সে দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। সেই জন্যই রাশিয়ায় অবিলম্বে বিশেষজ্ঞের নিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জে ব্রিটেনের দূত সাইমন ম্যানলি বলেছেন, ‘‘সত্যিটা হল দমনমূলক আইন এনে বাক্স্বাধীনতার অধিকারকে দমিয়ে রেখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যথেচ্ছ ও অবাধ ধরপাকড় এবং হিংসার আশ্রয় নিয়ে বিরোধী ও সংবাদমাধ্যমের মুখ কার্যত বন্ধ করে রেখেছেন তিনি।’’ উল্টো দিকে, রাশিয়ার প্রতিনিধি গেন্যাডি গাতিলোভের দাবি, ওই খসড়া প্রস্তাব আন্তর্জাতিক স্তরে রাশিয়াকে দমিয়ে রাখার ঘৃণ্য এক নথি। তাঁর কথায়, ‘‘এটা আসলে ইইউ-এর সদস্য ও মিত্র দেশগুলির আরও একটি প্রকল্প, যার মাধ্যমে ওরা চায় রাশিয়ার নিজস্ব অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশনীতি যাতে না থাকে। সে জন্যই আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ আনছে ওরা।’’