কিছু দিন আগে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষে সওয়াল করেন সরসঙ্ঘচালক ভাগবত। তিনি বলেন, ‘‘ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্য ঠিক না থাকলে তা ভৌগোলিক সীমানা পরিবর্তন করতে পারে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্য এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা কোনও ভাবেই অগ্রাহ্য করা যায় না।’’ তিনি এ-ও বলেন, ‘‘দেশের স্বার্থে একটি সামগ্রিক জনসংখ্যা নীতি গ্রহণের প্রয়োজন, যা সবার ক্ষেত্রে সমান ভাবে প্রযোজ্য হবে।’’ ভাগবতের যুক্তি, জন্মহার যা কমেছে মূলত হিন্দু সমাজেই। মুসলমান সমাজে জন্মহার কমার হার হিন্দুদের তুলনায় নগণ্য। সঙ্ঘ নেতাদের একাংশ মনে করেন, এই গতিতে চললে জনসংখ্যার বিস্ফোরণের মাধ্যমে আগামী দিনে দেশে সংখ্যাগুরু হয়ে দাঁড়াবে মুসলিমেরা। সেই কারণে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনা জরুরি বলেই মনে করেন সঙ্ঘ নেতারা। শনিবার একটি সভা থেকে এ বিষয়ে পাল্টা মন্তব্য করেন ওয়াইসি। তাঁর কথায়, ‘‘আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। মুসলমানদের জন্মহার বৃদ্ধি পাচ্ছে না। বরং কমছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কারা সবচেয়ে বেশি কন্ডোম ব্যবহার করেন? আমরা (মুসলমান)। মোহন ভগবত এ নিয়ে কিছু বলেন না।’’
এখানেই থামেননি ওয়াইসি। ভগবতকে উদ্দেশ্য করে খোঁচা দেন। বলেন, ‘‘কেন্দ্রের তথ্যই বলছে মুসলিমদের জন্মহার ২ শতাংশ কমেছে। আপনি যদি তথ্য বিকৃত করেন, সেটা আপনার সমস্যা।’’ এর পর বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আপনি চাকরি দেবেন না, বেতনও বাড়াবেন না। ২০৬১ সাল পর্যন্ত দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা খাবার এবং ওষুধের জন্য তাঁদের সন্তানদের উপর নির্ভরশীল হবে। কিন্তু কে তাদের খাওয়াবে? বিজেপি এবং আরএসএস সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা খাওয়ার ব্যবস্থা না করে মুসলমানদের উপর হামলা করবে।’’