• দীঘায় উঠল ২২টি তেলিয়া ভোলা নিলামকেন্দ্রে বিক্রি হল ২০ লক্ষ টাকায়
    বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২২
  • সংবাদদাতা, কাঁথি: শনিবার দীঘায় মৎস্যজীবীদের জালে একসঙ্গে ২২টি বিভিন্ন আকারের মহার্ঘ তেলিয়া ভোলা ধরা পড়ে। এদিন তেলিয়া ভোলাগুলি দীঘা মোহনার মৎস্য নিলামকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। বিস্তর দরদামের পর প্রায় ২০লক্ষ টাকায় তা বিক্রি হয়েছে। দু’টি কোম্পানি মাছগুলি কিনে নেয়। জানা গিয়েছে, এদিন তপন দাসের ‘বিশ্বেশ্বরী’ ট্রলারের জালে তেলিয়া ভোলাগুলি ধরা পড়ে। তারপর সেগুলিকে মোহনার নিলামকেন্দ্রে কার্তিক বেরার আড়তে নিয়ে আসা হয়। বিভিন্ন আকারের মাছগুলি দেখতে মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি মোহনায় বেড়াতে আসা পর্যটকরাও ভিড় জমান। 

    দীঘা মোহনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সবচেয়ে বড় মাপের দু’টি তেলিয়া ভোলার ওজন ছিল ৬১কেজি। সেগুলি ২২হাজার ৮০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। মাঝারি মাপের ছ’টি তেলিয়া ভোলার ওজন ছিল ১৩৭কেজি। সেগুলি ৬হাজার ৪০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। ১৪টি ছোট আকারের তেলিয়া ভোলার ওজন ছিল ২২৩কেজি। সেগুলি ৪হাজার ১০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। সব মিলিয়ে দাম ওঠে ১৯লক্ষ ৩০হাজার ৯০০টাকা। বড় ও মাঝারি মাপের তেলিয়া ভোলাগুলি কলকাতার একটি কোম্পানি কিনে নেয়। ছোট আকারের মাছগুলি কলকাতারই আর একটি কোম্পানি কিনেছে। এর আগে দীঘায় মৎস্যজীবীদের জালে একসঙ্গে ৩৩টি তেলিয়া ভোলা ধরা পড়েছিল। সেবার তা প্রায় ৯০লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। দীঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস-চেয়ারম্যান নবকুমার পয়ড়্যা বলেন, তেলিয়া ভোলা বিদেশের বাজারে রপ্তানি হয়। এই মাছের পটকা থেকে জীবনদায়ী ওষুধ তৈরি হয়। এই মাছ বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আসে। এইসব কারণে এই মাছের এত চাহিদা এবং এত বেশি দাম হয়।

    এবছর দীঘার সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের জালে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়লেও ইলিশ সেভাবে ধরা পড়েনি। মাঝেমধ্যেই তেলিয়া ভোলা জালে উঠে আসে। তবে একসঙ্গে একঝাঁক তেলিয়া ভোলা জালে উঠলে মোটা অঙ্কের টাকা মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ীদের হাতে আসে। তাঁরা আর্থিকভাবে লাভবান হন। 
  • Link to this news (বর্তমান)