• লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকাই সম্বল লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে উঠেছেন এগরার মহিলারা
    বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২২
  • সংবাদদাতা, কাঁথি: রাজ্য সরকারের সাড়া জাগানো প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ থেকে পাওয়া টাকার কিছু অংশ দিয়েই ধনসম্পত্তির দেবী মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে উঠেছেন এগরার নেগুয়া এলাকার মহিলারা। এগরা ১ ব্লকের ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ নেগুয়া (নুটিবেড়) নিউ স্টার উপসঙ্ঘের পরিচালনায় মহিলাদের লক্ষ্মীপুজো এবার দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করল। সংসার, হেঁশেল সামলে তাঁরা পুজোর আয়োজন করছেন। পুজো নিয়ে মহিলাদের প্রত্যেকের মধ্যে উৎসাহ­-উদ্দীপনার শেষ নেই। পুজো উপলক্ষে দু’দিন ব্যাপী একাধিক অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি রয়েছে। 

    উদ্যোক্তা ১৮০ জনের সকলেই দক্ষিণ নেগুয়া (নুটিবেড়) নিউ স্টার উপসঙ্ঘ স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীর সদস্যা। গত বছর ১৪১ জন সদস্যা পুজো শুরু করেছিলেন। পুজো নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে এবছর অনেকে এগিয়ে আসায় সদস্যা সংখ্যা বেড়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে পুজোর যাবতীয় আয়োজন করছেন মহিলারাই। আজ, রবিবার এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন এগরার বিধায়ক তরুণকুমার মাইতি ও পটাশপুরের বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে সম্মান জানাতে তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। পুজো উপলক্ষে এলাকার মানুষকে পাত পেড়ে অন্নভোগ বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। 

    নেগুয়া এলাকায় ত্রিনয়নী মহিলা সঙ্ঘের পরিচালনায় দুর্গোৎসব হয়। কিন্তু লক্ষ্মীপুজোর চল ছিল না। গত বছর থেকে এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাত ধরে লক্ষ্মীপুজোর সূচনা হয়। উপসঙ্ঘের সম্পাদিকা স্বপ্না আচার্য, সদস্যা মহুয়া বারিক, বাসন্তী পাত্র, সীমা রঞ্জিত সহ সকলেই পুজোর আয়োজনে হাত লাগিয়েছেন। পুরুষরা এখানে কার্যত দর্শক। তবে তাঁরা বাইরে থেকে সবরকমের সহযোগিতা করেন। 

    উপসঙ্ঘের সভাপতি টুম্পা রঞ্জিত বলেন, এবার আমাদের সদস্যাদের মধ্যে ১৫০ জন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেয়েছেন। তখনই আমাদের ভাবনায় আসে, এই প্রকল্পে পাওয়া টাকার কিছু অংশ দিয়ে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করলে কেমন হয়? এতে মায়ের পুজো যেমন হবে, তেমনি রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা পেয়ে যে আমরা উপকৃত হয়েছি, এবং তার কিছু অংশ দিয়ে পুজোর আয়োজন করছি, সেই বিষয়টিও সকলের সামনে তুলে ধরতে পারব। ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়িত করতে সকলেই এগিয়ে এসেছিলেন।  
  • Link to this news (বর্তমান)