‘আয়ত্তের বাইরে গিয়ে নেশা করবে কেন?’ ঠাকুরপুকুর-কাণ্ডে ভিক্টোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ কনীনিকার
আনন্দবাজার | ১০ এপ্রিল ২০২৫
ঠাকুরপুকুরের ঘটনায় চাপানউতর চলছে টলিপাড়ার অন্দরে। রবিবার সকালে মত্ত অবস্থায় ঠাকুরপুকুরের বাজারে ঢুকে ছ’জনকে পিষে দেওয়ার অভিযোগ ছোট পর্দার পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস ওরফে ভিক্টোর বিরুদ্ধে। আহতদের মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। ভিক্টো এই মুহূর্তে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। এই ঘটনায় এ বার ক্ষোভ উগরে দিলেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুরো ঘটনাই খুব দুঃখজনক ও নিন্দনীয় বলে মত কনীনিকার। এই ঘটনার পর কার্যকরী প্রযোজক শ্রিয়া বসুর একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিয়োয় প্রায় বেহুঁশ ও বেসামাল অবস্থায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি সেই গাড়ির পিছনের আসনে বসেছিলেন। এই প্রসঙ্গে কনীনিকা বলেছেন, “প্রথম প্রশ্নই হল, নিজের আয়ত্তের বাইরে গিয়ে নেশা করব কেন? জীবনে কিছু নিয়মকানুন তো দরকার। অন্যের জন্য নয়। নিজের জন্য এবং নিজের পরিবারের কথা ভেবেও তো সামান্য নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।”
আরজি কর-কাণ্ডে পথে নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন অভিনেত্রী। এই ঘটনা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। তার মধ্যে মূল প্রশ্ন, ‘ভিক্টো কি শাস্তি পাবেন?’ কনীনিকার কথায়, “ভারতীয় আইন যদি কড়া হয়, তা হলে নিশ্চয়ই বিচার পাওয়া যাবে। যদিও গত এক বছরে আমরা কলকাতায় যা দেখে ফেলেছি, তার পরে আমার এই কথাগুলো অর্থহীন। তবে তা-ও বিশ্বাস রাখি, সত্যের জয় হবে।”
ঘটনার আগের রাতে দীর্ঘ ক্ষণ পার্টি করেছিলেন ভিক্টোরা। তার পরেও কী ভাবে নিজে গাড়ি চালাতে গেলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই প্রসঙ্গে কনীনিকা বললেন, “দুর্ঘটনা অনিচ্ছাকৃত ভাবেই ঘটে যায়। কিন্তু স্টিয়ারিং-এ হাত দেওয়ার আগে তো ভাবতে হবে, আমি ঠিক অবস্থায় আছি কি না। মত্ত অবস্থায় কী ভাবে একজন গাড়ি চালায়! তাকে তার বন্ধুরাই বা কেন নিষেধ করে না? তা হলে এরা কী ধরনের বন্ধু!”
অভিনেত্রী আরও বলেন, “আগে যারা নেশা করত, তাদের থেকে দূরে থাকতাম আমরা। আর এখন তো ঘরে ঘরে নেশা করার অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। কেউ মদের নেশা করতেই পারে। কিন্তু নেশাই যদি তাকে গ্রাস করে নেয় তা হলে তো সমস্যা হবেই। যে মানুষগুলো রাস্তায় বেরিয়ে আহত হলেন, তাঁদের পরিস্থিতি তো আমরা জানতেও পারব না।”