• ‌তৃণমূলের সঙ্গে জোটে গেলে কেমন হয়?‌ রাহুল গান্ধীর প্রশ্নে নয়া সমীকরণের জন্ম
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ অক্টোবর ২০২২
  • আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল–কংগ্রেসের জোট হচ্ছে কি?‌ এই প্রশ্ন হঠাৎ উঠতে শুরু করেছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। এমনকী তাতে বাংলার কংগ্রেস নেতাদের মনোভাবও জানা প্রয়োজন। যদিও এই প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং রাহুল গান্ধী বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় কর্মসূচি ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা চলাকালীন বাংলার তরুণ দলীয় নেত্রী পূজা পরাজিতা রায়চৌধুরীর কাছে সরাসরি এই প্রশ্ন করেছেন রাহুল। যদিও পূজা বিষয়টির বিরোধিতা করেছেন। তবে বামেদের সঙ্গেও জোটের পক্ষে নন তিনি। বরং তিনি চান এককভাবে লড়াই করুক কংগ্রেস।

    কেন এমন প্রশ্নের জন্ম হল?‌ বাংলায় কংগ্রেস কার্যত সাইনবোর্ড। আর গোটা দেশেও কংগ্রেসের সেই হাওয়া দেখা যাচ্ছে না। উলটে কংগ্রেস ছেড়ে নেতা–কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে ভিড়ছেন। সেখানে আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে মোদী–শাহ জুটিকে হটাতে চায় সব বিরোধী দলই। তবে সার্বিক বিরোধী জোট কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সেখানে তৃণমূল নিয়ে রাহুলের এই খোঁজ নেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পূজার কাছ থেকে এই বিষয়টি জানতে পেরেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা। তখন থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

    আর কী জানা যাচ্ছে?‌ একুশের নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করতে গিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। তারপর সেখানে হাজির হন প্রশান্ত কিশোর। সংসদে কক্ষ সমন্বয় করে মোদী সরকারকে চেপে ধরতেও দেখা গিয়েছিল। ইডি–সিবিআই দিয়ে রাহুল–সোনিয়া থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদেরও হেনস্তা করা হয়েছে। এমনকী দু’‌জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাই প্রদেশ কংগ্রেসের কেউ যদি প্রশ্ন তোলে দুর্নীতির সরকারের সঙ্গে জোট কেন?‌ তাহলে রাহুল–সোনিয়ার সঙ্গে যা ঘটেছে সেই উদাহরণ তুলে ধরা হবে বলে খবর।

    কীভাবে এমন প্রশ্ন এল পূজার কাছে? কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা। এই কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে বাছাই করা ১১৭ জন কংগ্রেস কর্মী সামিল হয়েছেন। বাংলা থেকে ঠাঁই হয়েছে দু’জনের। পাহাড়ের তরুণ সেবাদল কর্মী কিরণ ছেত্রী এবং সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের পদাধিকারী পূজা। সম্প্রতি পদযাত্রা চলাকালীন একান্ত আলাপচারিতার জন্য উচ্চশিক্ষিতা পূজাকে ডেকে নেন রাহুল গান্ধী। আর সেই আলোচনাতেই তিনি তৃণমূলের সঙ্গে জোটের প্রশ্ন করেন। এক বেসরকারি সংবাদপত্রকে পূজা বলেন, ‘‌টানা ৪০ মিনিট ধরে আলোচনা হয়েছিল। সব কিছু খুঁটিয়ে জানতে চেয়েছিলেন রাহুলজি। আমার মতামত ওঁকে জানিয়েছি। কর্মসূচি চলাকালীন আগামী দিনে উনি আবারও এই প্রসঙ্গে আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)