• ‘সাময়িক স্বস্তি’তে এসএসসি এবং শিক্ষা দফতর, আদালত অবমাননা মামলায় কী হল কলকাতা হাই কোর্টে
    আনন্দবাজার | ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • আদালত অবমাননা মামলায় সাময়িক স্বস্তিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এবং স্কুল শিক্ষা দফতর। বুধবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে তারা সওয়াল করে, সংশ্লিষ্ট মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই। কারণ, এই সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই মামলা করতে হলে হলে সর্বোচ্চ আদালতে যেতে হবে মামলাকারীদের। অন্য দিকে, মামলাকারীদের আইনজীবীর যুক্তি, আদালতের নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে অবমাননার মামলা শোনার। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।

    ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যা যা নির্দেশ দিয়েছিল, সেগুলি কেন কার্যকর করা হচ্ছে না, এই প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে মামলা হয়। তার প্রেক্ষিতে এক দিনের মধ্যে এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে তা জানাতে বলা হয়। গত শুনানিতে বিচারপতি বসাক আদালতের নির্দেশ মেনে ‘দাগি’ শিক্ষকদের বেতন ফেরত-সহ দাগি এবং অযোগ্যদের ওএমআর প্রকাশের কথা বলে। মামলাকারীদের দাবি, হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও পদক্ষেপ করেনি এসএসসি বা স্কুল শিক্ষা দফতর। এই ভাবে আদালত অবমাননা করেছে তারা। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে তালিকা প্রকাশ, কারা স্কুলে যেতে পারবেন এই সংক্রান্ত মামলায় তাই ‘সাময়িক স্বস্তি’তে রাজ্য শিক্ষা দফতর এবং এসএসসি।

    বস্তুত, চাকরি বাতিলের মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। বাতিল করে দেওয়া হয় ২০১৬ সালের এসএসসি-র সম্পূর্ণ প্যানেল। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যাঁরা ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ বা ‘দাগি’ (টেন্টেড), তাঁদের বেতনও ফেরত দিতে হবে। অভিযোগ, সেই নির্দেশ কার্যকর করতে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বরং বেতনের তালিকায় এখনও ‘অযোগ্য’দের নাম আছে। এ ছাড়া, এসএসসি-কে উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট প্রকাশ করতেও বলেছিল আদালত। এখন এসএসসি এবং স্কুল শিক্ষা দফতরের আইনজীবীদের যুক্তি, সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখলেও বেশ কিছু জায়গা ‘মডিফাই’ (পরিবর্তন) করেছে। এখন ওই সংক্রান্ত মামলা শোনার এক্তিয়ার কেবল শীর্ষ আদালতেরই।

    উল্লেখ্য, ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে গত দু’দিন ধরে সল্টলেকে এসএসসি দফতর ঘেরাও করে আছেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। দু’দিন নিজের দফতরে আটকে থাকার পর বুধবারই ‘ছাড়া’ পান এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। জানা যায়, হাই কোর্টে মামলার কারণে ছাড়া হয়েছে তাঁকে। বুধবার মামলার শুনানিতে সশরীরে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল এসএসসি চেয়ারম্যানকে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)