দশমীর রাতে হরিদেবপুর নতুনপল্লির বাড়িতে বান্ধবী নয়, তার মায়ের সঙ্গেই দেখা করতে গিয়েছিল অয়ন মণ্ডল (Ayan Mondal) । সূত্রের খবর এমনটাই। তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি ও ভিডিয়ো নিয়ে বচসা বাঁধে। এরপরই বাড়িতে চলে আসে অয়নের বান্ধবী প্রীতি। এরপরই শুরু হয় গণ্ডোগোল। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে মায়ের ইন্ধনেই অয়নকে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করে প্রীতি? এমনই নানা তত্ত্ব উঠে আসছে হরিদেবপুরকাণ্ডে (Haridevpur Murder Case)।
ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো ফাঁসের ব্ল্যাকমেল?
হরিদেবপুরের ২১ বছরের যুবক অয়ন মণ্ডল খুনের ঘটনায় (Haridevpur Murder Case) পরতে পরতে রহস্য। পুলিশি তদন্তে এবার উঠে এল ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো প্রসঙ্গ। সূত্রের খবর, অয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল প্রীতি জানা এবং মা রুমা জানার। সেই সূত্রের তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত তৈরি হয়। সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের একাধিক ভিডিয়ো এবং ছবি অয়নের কাছে গচ্ছিত ছিল। যা ফাঁস হওয়ার ভয়েই কি অয়নকে সরিয়ে দেওয়া হল? এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরেই খুন অয়ন মণ্ডল। পুলিশ সূত্রে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিল এই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো ও ছবিগুলি। এদিকে, অয়নের সন্তান রয়েছে বান্ধবী প্রীতির গর্ভে। প্রীতি জানার পরিবারের তরফে এই দাবি তুলে একাধিকবার অয়নের পরিবারকে আক্রমণ করা হয়েছে। এমনটাই জানাচ্ছেন অয়নের প্রতিবেশীরা।
কী মিলল ফরেনসিক রিপোর্টে (Forensic Report)?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিদেবপুর নতুনপল্লিতে প্রীতি জানার বাড়ির দোতলায় খুন করা হয়েছে অয়নকে। সেখানে প্রথমে তাঁর বুকে আঘাত করা হয়। পরে ইট, কাঠ, লাঠি দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়। খুনের পর অয়নের দেহ লোপাটের পরিকল্পনা করে বান্ধবীর বাবা, ভাই ও বন্ধুরা। তবে ফরেনসিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, দোতলার ওই ঘরে একফোঁটাও রক্তের চিহ্ন মেলেনি। ফলে অনুমান করা হচ্ছে, খুনের প্রমাণ মেটাতে ঘর ভালো করে ধুয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, দুই বন্ধুকে ডেকে ত্রিপল দিয়ে মোড়া হয় অয়নের দেহ। তারপর ছোটা হাতিতে হরিদেবপুর থেকে কুঁদঘাট হয়ে মগরাহাটে নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদেহ। অয়নের দেহ লোপাটের আগে অয়নের মোবাইল সুইচড অফ করে ফেলে দেওয়া হয় জলাশয়ে। বিষ্ণুপুরের নেপালগঞ্জে জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয় অয়নের মোবাইল ফোনটি।