• Kim Jong-un: ফের জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কিমের, আতঙ্কে কাঁপছে জাপান
    এই সময় | ০৯ অক্টোবর ২০২২
  • দু’সপ্তাহে এই নিয়ে সাত বার। একের পর এক ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেই চলেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং-উন। আর তাঁর এই পদক্ষেপের জেরে একদিকে যেমন কোরিয় উপদ্বীপে বাড়ছে যুদ্ধের আশঙ্কা। অন্যদিকে তেমনি আতঙ্কে কাঁপছে জাপান। কারণ অধিকাংশ সময়ই জাপানের উপর দিয়ে পূর্ব দিকের সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে কিমের ক্ষেপণাস্ত্র। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা সূত্রে খবর, রবিবার ফের জোড়া ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেন কিম। সেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি জাপান সাগরে গিয়ে পড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই জাপান সাগরেই মার্কিন নৌসেনার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, আমেরিকাকে খোলা চ্যালেঞ্জ জানাতেই এইরকম বেপরোয়াভাবে একের পর এক মিসাইল পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।

    জাপানের সংবাদ সংস্থাগুলি সূত্রে খবর, রবিবার ডুবোজাহাজ থেকে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। সাড়ে ৩০০ কিলোমিটার পাল্লার এই মিসাইল ভূমি থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার উঁচু দিয়ে উড়ে গিয়ে জাপান সাগরে পড়েছে বলে ওই সংবাদমাধ্যমগুলিতে দাবি করা হয়েছে। রবিবারের ওই ঘটনার পর তড়িঘড়ি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সেই মতো জাপানের সমুদ্র বন্দর, বিমান বন্দর থেকে শুরু করে সেনা ঘাঁটি — সর্বত্র হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি, উত্তর কোরিয়ার এই মিসাইল পরীক্ষার কড়া সমালোচনা করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

    অন্যদিকে এই ঘনঘন মিসাইল পরীক্ষার জন্য সাফাই দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কিমের দেশের সেনার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের দিক থেকে হামলার আশঙ্কা থাকার কারণেই এই মিসাইল পরীক্ষা করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করেছে আমেরিকাও। মার্কিন নৌসেনার তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাপানের ‘এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন’ বা ‘ইইজেড’-এ গিয়ে পড়েছে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল।

    গত ৩ অক্টোবর প্রশান্ত মহাসাগরে প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটারের মাঝারি পাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। ওই সময়ও জাপানের অভিযোগ ছিল, মিসাইলগুলি তাঁদের দেশের উপর দিয়ে গিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের অপর প্রান্তে গিয়ে পড়েছে। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মার্কিন সেনার সঙ্গে মিলে চারটি মিসাইল পরীক্ষা করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। এর মধ্যে তিনটি মিসাইল নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানলেও একটি ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চের পড়েই ভেঙে পড়ে।
  • Link to this news (এই সময়)