• Asaduddin Owaisi : মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি কন্ডোম ব্যবহার করেন: আসাদুদ্দিন ওয়াইসি
    এই সময় | ০৯ অক্টোবর ২০২২
  • ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তরাই সবচেয়ে বেশি কন্ডোমের ব্যবহার করে থাকেন। এমনটাই দাবি করলেন মিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Qwaisi)। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ভারতের মুসলিমদের সংখ্যা কমছে বই বাড়ছে না। কিন্তু, কেন আচমকা এ হেন মন্তব্য করলেন মিম প্রধান?

    মোহন ভাগবতকে পালটা জবাব ওয়াইসির

    আসলে বিজয়া দশমীর দিন মোহন ভাগবত ভারতের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। RSS প্রধানের বক্তব্য ছিল, "ধর্মের ভিত্তিতে জনসংখ্যার ভারসাম্য যদি নষ্ট হয়, তবে ভৌগলিক সীমানা পর্যন্ত পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।" তিনি আরও বলেন, “জনসংখ্যার নীতি চিন্তাভাবনা করে নেওয়া উচিত। এই নীতি সকলের উপর সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া দরকার।” সংঘ প্রধানের এই মন্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এরপরই এই বক্তব্যের পালটা দিতে নামেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেন, "আতঙ্কিত হবেন না। কারা সবচেয়ে বেশি কন্ডোম ব্যবহার করেন? আমরা। মোহন ভগবত এ নিয়ে কিছু বলেন না। ভারতে মুসলিমদের জন্মহার বৃদ্ধি পাচ্ছে না। বরং কমছে। আমি আপনার সামনে তথ্য পেশ করছি। কেন্দ্রের তথ্যই বলছে মুসলিমদের জন্মহার দু'শতাংশ কমেছে। তথ্য বিকৃত করা উচিত নয়। BJP এবং RSS সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা দেশের মানুষের খাবারের ব্যবস্থা না করে মুসলিমদের উপর হামলা করবে।"

    এর আগেও যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) কটাক্ষের জবাবে আসাদুদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi) এই মন্তব্য করেছিলেন। জনবিস্ফোরণ (Population Control) ঠেকাতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Uttar Pradesh Chief Minister) জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পক্ষে সওয়াল করেন। জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে তিনি ধর্মের ভারসাম্য রক্ষার কথাও বলেন। তাঁর ইঙ্গিত ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিই। এমনটাই মত ছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তারই পালটা দেন মিম প্রধান (AIMIM Chief Asaduddin Owaisi)। ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi) বলেছিলেন, "ওঁদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীই জানিয়েছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দেশে কোনও আইন বলবৎ করার প্রয়োজন নেই।" একইসঙ্গে তাঁর দাবি ছিল, "মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেন। সন্তান প্রসবের হার ২০১৬ সালে ছিল ২.৬, বর্তমানে তা ২.৩-এ নেমে এসেছে। সলমানরা কি ভারতের আদি বাসিন্দা নয়? আমরা যদি বাস্তব স্বীকার করি, তবে প্রকৃত স্থানীয় বলতে তো কেবল উপজাতি সম্প্রদায় আর দ্রাবিড় জনগণ। কোনও আইন ছাড়াই ২০২৬-২০৩০ সালের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণের কাঙ্ক্ষিত হারে পৌঁছে যাবে উত্তরপ্রদেশ।”
  • Link to this news (এই সময়)