• National News: সিজারের পর পেটে চিমটে রেখে সেলাই! ৫ বছর ধরে চিকিৎসকের ভুলো মনের খেসারত মহিলার
    এই সময় | ০৯ অক্টোবর ২০২২
  • অপারেশনের পর পেটেই চিমটে রেখে সেলাই করে দিয়েছিলেন চিকিৎসক (National News)। এরপর তা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। পাঁচ বছর পর পেটে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করেন ওই রোগী। এরপরেই তিনি যান চিকিৎসকের কাছে। পরীক্ষার পর চোখ কপালে ওঠে ডাক্তারদের। পেটের মধ্যে ঘা করে দিয়েছে এই চিমটে। ঘটনাটি ঘটেছে কেরালায়। ৩০ বছরের এক মহিলা এই বিষয়ে ডাক্তার এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কেলারার স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    কেরালার কোঝিকোড়ের এক বছর ৩০-এর মহিলা হারশিনা আচমকাই পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। এরপরেই তিনি চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা করেন। এরপরেই জানতে পারেন একটি চিমটে জাতীয় জিনিস ওই মহিলার পেটে আটকে রয়েছে গত পাঁচ বছর ধরে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা ওই মহিলার উপর একটি সার্জারি করেন এবং ওই চিমটে বার করেন। বিষয়টিতে রীতিমতো অবাক হন ওই চিকিৎসকরা। সার্জারির জন্য ব্যবহৃত চিমটে কীভাবে এল ওই মহিলার পেটে? তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন ওঠে।

    কীভাবে ওই মহিলার পেটে এল সার্জারির চিমটে?

    জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজে ওই মহিলার তৃতীয় সিজার হয়। তার আগে দুই সিজার হয় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে। তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "তৃতীয় সিজারের পর পেটে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করি। সেই সময় আমি ভেবেছিলাম অপারেশনের জন্য এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। পরে আমার মনে হয়েছিল কিডনির সমস্যা। ইউরিন ইনফেকশনের জন্য আমাকে একাধিক ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। পরে চিমটে পেটে রাখার বিষয়টি জানতে পারি।”

    কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজের তরফে ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ডা: ই ভি গোপী বলেন, "ওই মহিলার দুটি সার্জারি বেসরকারি হাসপাতালে হয়েছিল। আমাদের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে কোনও মেডিক্যাল সার্জারির যন্ত্র হারিয়ে যায়নি।" ইতিমধ্যেই সার্জারি করে ওই চিমটেটি মহিলার পেট থেকে বার করা হয়েছে। আপাতত সুস্থ রয়েছেন তিনি। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়াও হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তের জন্য কেরালার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
  • Link to this news (এই সময়)