• Explained: শিবসেনার প্রতীক কেন পেলেন না উদ্ধব? এবার কী হবে !
    ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস | ০৯ অক্টোবর ২০২২
  • শনিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে, নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) শিবসেনার থেকে ‘তির-ধনুক’ নির্বাচনী প্রতীকটি কেড়ে নিয়েছে। সেনার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর মধ্যে কে আসল শিবসেনা, এনিয়ে যতক্ষণ না-সিদ্ধান্ত হয়, ততক্ষণ এই প্রতীক পাবে না কোনও পক্ষই।

    কমিশনের কথা

    কমিশন জানিয়েছে, (ক) আবেদনকারী একনাথরাও সম্ভাজি শিণ্ডে এবং অন্যতম আবেদনকারী উদ্ধব ঠাকরে শিবসেনা নাম ব্যবহার করতে পারবে না।

    উভয়পক্ষের কাউকেই শিবসেনার ‘তির-ধনুক’ প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না। (গ) উভয় গোষ্ঠীই তাদের বিকল্প পছন্দসই নামে পরিচিত হবে।

    কে আসল সেনা?

    কে আসল শিবসেনা, উভয়পক্ষের সেই বিরোধের নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বজায় থাকবে। নির্দলদের জন্য কমিশনের যে প্রতীক রয়েছে, তা থেকে এই গোষ্ঠীগুলো তাদের পছন্দসই প্রতীক বেছে নিতে পারবে। ৩ নভেম্বর আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেই উপনির্বাচনে উদ্ধব গোষ্ঠী যাতে ‘তির-ধনুক’ প্রতীক ব্যবহার করতে না-পারে, সেজন্যই কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল শিণ্ডে গোষ্ঠী।

    কেন এই সিদ্ধান্ত?

    ভারতীয় ভোটারদের অনেকেই দলের প্রতীক দেখে ভোট দেন। সেই কারণে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রতীকের বড় গুরুত্ব রয়েছে ভোটারদের কাছে। আর, তাই যখন একটা দলের মধ্যে বিভাজন ঘটে, তবে প্রতীক কার, সেই প্রশ্নও ওঠে। নিরপেক্ষ ভূমিকা নিতেই কমিশন সেই সময় বিবাদমান কোনও পক্ষকে সেই দলের নির্বাচনী প্রতীক দেয় না। কমিশনের পড়ে থাকা প্রতীক থেকে নতুন প্রতীক বেছে নেওয়ার কথা বলে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।

    কমিশন কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়?

    ১৯৬৮ সালের ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এক) যাবতীয় বিষয় পর্যালোচনা করে কমিশন যখন বুঝবে, কোন গোষ্ঠীর দলের প্রতীক পাওয়া উচিত। দুই) যদি উভয়পক্ষ নিজেদের বিবাদ নিজেরাই মীমাংসা করে নেয়। তিন) বিবাদমান গোষ্ঠীগুলোকে আদালতে যাওয়ারও পরামর্শ দিতে পারে কমিশন।

    ১৯৬৮-র আগে কী হত?

    ১৯৬৮ সালের আগে ১৯৬১ সালের নির্বাচনী বিধি মানা হত। যেমন, ১৯৬৪ সালে সিপিআই থেকে বেরিয়ে তৈরি হয় সিপিএম। তারা অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল এবং পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ এবং বিধায়কদের একটি তালিকা কমিশনকে দিয়েছিল। ওই বিধায়ক ও সাংসদরা নতুন দল সিপিএমকে সমর্থন করেছিল। কমিশন দেখে যে তিন রাজ্য মিলিয়ে সমর্থকারী বিধায়ক, সাংসদদের ভোটের পরিমাণ ৪%-এর বেশি। এরপরই সিপিএমকে স্বীকৃতি দেয় কমিশন।
  • Link to this news (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)