• ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্ব ভারত! মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৪, ঘরছাড়া অনেকেই, উদ্ধার অভিযানে নামানো হল সেনাকে
    আনন্দবাজার | ০২ জুন ২০২৫
  • প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। অসম, মেঘালয়, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মিজ়োরাম, সিকিমে গত দু’দিনে দুর্যোগের কারণে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে বহু এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতির ক্রমাবনতি হওয়ায় উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে ভারতের বায়ুসেনা এবং অসম রাইফেলসের আধিকারিকদেরও।

    অসমের ১৯টি জেলার ৭৬৪টি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যে দুর্যোগের কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাড়িঘর জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঘরছাড়া হতে হয়েছে বহু মানুষকে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি অসমের কাছাড় জেলায়। সেখানে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় এক লক্ষ মানুষ। এই সংখ্যাটা শ্রীভূমি জেলায় ৮৩ হাজার, নগাঁও জেলায় ৬২ হাজার, লখিমপুর জেলায় ৪৬ হাজার। অসম রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৫৫টি ত্রাণশিবিরে ৫৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

    মণিপুরে ভারী বৃষ্টিতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মণিপুরের সমতল এলাকার দু’টি জেলা ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিম। এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যে ১৫০০ মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে এনেছে সেনা। অরুণাচল প্রদেশে ৯ জনের প্রাণ কেড়েছে ভূমিধস। সাত জনের মৃত্যু হয়েছে পূর্ব কামেং জেলা এবং দু’জনের মৃত্যু হয়েছে জ়িরো ভ্যালিতে। ভারী বৃষ্টি এবং ভূমিধসের জেরে উত্তর সিকিমে আটকে পড়েছেন ১২০০ পর্যটক। গত ২৯ মে তিস্তা নদীতে পড়ে গিয়েছিল পর্যটকবোঝাই একটি গাড়ি। গাড়িতে ছিলেন ১১ জন পর্যটক। তার মধ্যে আট জনের খোঁজ মেলেনি। মেঘালয়ে হড়পা বানে বিপর্যস্ত ১০টি জেলা। ত্রিপুরাতেও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

    রবিবার অসম, সিকিম, অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী এবং মণিপুরের রাজ্যপালকে ফোন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের সাহায্য করার আশ্বাস দেন তিনি। অন্য দিকে, সোমবার সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। রয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)