রাতে বাড়ির পাশে পার্কে অসামাজিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করেছিলেন ব্যবসায়ী। ভোরে আগুনে পুড়ল তাঁর গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের মহানন্দা কলোনিতে। গাড়ি ব্যবসায়ী সুবীর সরকারের অভিযোগ, সোমবার তিনি স্থানীয় ক্লাবের ছেলেদের নিয়ে অসামাজিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করেন। পুলিশকে জানান। তাঁর অভিযোগ, এর পরেই ভোরে বাড়ির সামনে রাখা তাঁর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই পার্কে নিয়মিত মদ্যপানের আসর বসানো-সহ নানা অসামাজিক কাজকর্ম করে কিছু যুবক। তাতে এলাকাবাসীর সমস্যা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় পার্কে ৭-৮ জন যুবক জড়ো হয়েছিলেন। অভিযোগ, তারা আনন্দ করার নামে গালিগালাজ করছিল। মত্ত অবস্থাতেও ছিল বলেঅভিযোগ। সুবীরের কথায়, ‘‘রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি ফেরার সময়ে দেখি, ওই যুবকেরা গালিগালাজ, চেঁচামেচি করছে। ক্লাবের দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ করি। থানায় খবর দিই। পুলিশ এলে, কার্যত পুলিশের সামনেই আমাকে হুমকি দিয়ে মোটরবাইকে পালিয়ে যায় তারা।’’ পুলিশ যুবকদের একটি বাইক আটক করে থানায়নিয়ে যায়।
সুবীরের দাবি, ভোরে হঠাৎ তিনি দেখেন, তাঁর গাড়িতে কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। সবাই মিলে আগুন নেভান। খবর পেয়ে ফের পুলিশ আসে। সুবীর বলেন, ‘‘সময়ে নজরে না এলে আগুন ছড়িয়ে চরম বিপদ ঘটতে পারত।’’ তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র সুমন্ত মণ্ডলের দাবি, ‘‘তৃণমূলের আমলে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। দুষ্কৃতী-রাজ চলছে। সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন। প্রতিবাদ করলে দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছে। এ সব বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আমরা আন্দোলন করব।’’ বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ওই এলাকার প্রাক্তনতৃণমূল পুরপ্রতিনিধি শিপুল সাহা। তাঁর দাবি, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। কোনও বেআইনি কাজ তৃণমূল সমর্থন করে না।’’