• বাংলাদেশি সন্দেহে ‘দেশছাড়া’! কোচবিহার পুলিশের তৎপরতায় দেশে ফিরলেন তিন ভারতীয়
    আনন্দবাজার | ১৬ জুন ২০২৫
  • কাজের সন্ধানে বাংলা থেকে দিল্লি পাড়ি দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের মিনারুল শেখ। থাকছিলেন দিল্লির নালাসোপারা এলাকায়। সেখান থেকেই বাংলাদেশি সন্দেহে ধরা পড়েন মিনারুল। এর পর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মদতে ভারতীয় হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে। অভিযোগ এমনটাই। এ বার সেই যুবককেই দেশে ফেরাল কোচবিহার জেলা পুলিশ। সঙ্গে ফিরলেন আরও দুই ভারতীয়। যদিও পুলিশের দাবি, তিন যুবক আদতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। সে সময় তাঁরা বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-র হাতে ধরা পড়ে যান।

    মিনারুলদের অভিযোগ, গত ১৩ ই জুন মধ্যরাতে বেশ কয়েক জন ভারতীয়ের সঙ্গে তাঁকেও জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শেষমুহূর্ত পর্যন্তও মিনারুল চিৎকার করে বার বার দাবি জানিয়েছিলেন, তিনি ভারতীয়, ভারতের নাগরিক হওয়ার সমস্ত নথি ও পরিচয়পত্র তাঁর কাছে রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, সে সব কথায় কেউ কর্ণপাত করেনি। বরং তাঁদের কাছে থাকা টাকাপয়সা এবং সমস্ত সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে তাঁদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় বাংলাদেশে গিয়ে বিজিবি-র হাতে ধরা পড়েন মিনারুলেরা। গত ১৪ জুন বাংলাদেশের কয়েক জন যুবক মিনারুলদের দুর্দশার কাহিনী নিয়ে একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। সেই ভিডিয়ো দ্রুত সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, বিএসএফ মারধর করে তাঁদের সমস্ত জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। ভিডিয়োতে তাঁকে এও বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি আদতে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাসিন্দা। ভিডিয়োতে আরও এক যুবক রয়েছেন। একই অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছে তাঁকেও।

    বিজিবি-র হাতে ধরা পড়ার পরেই তৎপর হয় কোচবিহার পুলিশ। জানা যায়, মিনারুলেরা ভারতীয় নাগরিক। অবশেষে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে আনে। এ বিষয়ে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই বলেন, ‘‘তিন ভারতীয় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছিলেন। সে সময় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে তাঁরা ধরা পড়ে যান। অবশেষে কোচবিহার জেলা পুলিশের তৎপরতায় তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব যাচাই করে তাঁদের আবার ভারতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।’’ তিন যুবকের নাম নাজিমুদ্দিন মণ্ডল, মিনারুল শেখ এবং মুস্তাফা কামাল। মিনারুল ও নাজিমুদ্দিন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। মুস্তাফার বা়ড়ি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)