দলীয় কোন্দল জারি থাকল পানিহাটিতে শাসকদলের কর্মিসভাতেও। সভাগৃহে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সামনেই এক পুরপ্রতিনিধি তথা পানিহাটি শহর (পশ্চিম)-এর সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কর্মীদের একাংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামতে হল দলীয় নেতৃত্বকে।
বিরোধীদের কটাক্ষ, পানিহাটিতে পরিবার-তন্ত্রের রাজনীতি চলে। আলাদা করে কর্মিসভার আয়োজন অপ্রয়োজনীয়। ওই বিশেষ ক্ষমতাবান পরিবারের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। যদিও তৃণমূলের ব্যারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘দলের বৈঠকের বিষয়ে বাইরে মন্তব্য করব না। তবে যে বা যাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন, পরক্ষণেই ক্ষমাও চেয়েছেন।’’ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কার্যত মুখে কুলুপ আঁটলেও ওই ঘটনা বিড়ম্বনা বলেই মনে করছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একাংশও।
সূত্রের খবর, পানিহাটির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবীর ভট্টাচার্য। তিনি পানিহাটি শহর (পশ্চিম)-এর সভাপতিও। কিন্তু ওয়ার্ডের কাজ ঠিক মতো না করা, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ না করা-সহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কর্মীদের অনেকেই। ছিলেন ওয়ার্ডের যুব সভাপতি পার্থ পালও। তিনি বলেন, ‘‘সমস্যার কথা আগেও নেতৃত্বকে জানিয়েছি। শীর্ষ নেতৃত্বকে হাতের কাছ পেয়ে আবারও বলেছি।’’ যদিও প্রবীরের দাবি, ‘‘বিক্ষোভকারীদের তেমন ভাবে চিনি না। কী উদ্দেশ্যে বা প্রলোভনে এমন করলেন, তাঁরাই বলতে পারবেন।’’