কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মীর হত্যাকাণ্ডে তিন পুলিশকর্তা ও কর্মীর জেল হেফাজত! ‘রক্ষকই ভক্ষক’, বলল আদালত
আনন্দবাজার | ১৮ জুলাই ২০২৫
২০২১ সালে কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় কলকাতা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এসি (তৎকালীন ওসি নারকেলডাঙা ) শুভজিৎ সেন এবং ‘খুনে সাহায্যকারী’ সুজাতা দের জামিন খারিজ। ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার এই মামলায় তৎকালীন এসআই রত্না সরকার এবং হোমগার্ড দীপঙ্কর দেবনাথকেও জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এই মামলার শুনানিপর্বে শুক্রবার বিচারক মন্তব্য করেন, ‘‘রক্ষকই ভক্ষক হয়ে গেলে সমাজের কী হবে।’’ ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার (আইও)-কে না জানিয়ে ওই পুলিশকর্তা নিহত অভিজিতের মায়ের সঙ্গে কেন সাক্ষাৎ করেছিলেন, সে প্রশ্নও তোলেন বিচারক। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই সময়েই ভোট পরবর্তী হিংসায় কাঁকুড়গাছির অভিজিৎ খুন হন বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, ফল প্রকাশের পরেই গলায় তার পেঁচিয়ে ও পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় অভিজিৎকে। প্রথমে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল।
পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে পুলিশের থেকে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। এই মামলায় পুলিশ প্রথমে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করে সিবিআই। তাতে মোট ২০ জন অভিযুক্তের নাম ছিল, যাদের মধ্যে ১৫ জনের নাম পুলিশের জমা দেওয়া চার্জশিটেও ছিল। গত ২ জুলাই দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের। রয়েছে, শুভজিৎ, রত্নাদের নামও।