• China Covid Protest: জিনপিং নিপাত যাক! কোভিড গ্রাফ সীমা ছাড়াতেই ফের চিনে আন্দোলন
    এই সময় | ২৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হতেই চিনে ফের শুরু আন্দোলন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে পথে নামলেন নাগরিকদের একাংশ। পাশাপাশি সোশাল মিডিয়াতেও চলছে সরকারের কড়া সমালোচনা। ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে হ্যাশট্যাগ গ্রুপ। সেখানেও জিনপিং এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টি বা CPC-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ঝেঝিয়াং, সাংহাই ও ছংকুইংয়ের মতো এলাকাগুলিতে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান বহু চিনা নাগরিক। বেশ কিছুক্ষণ ধরে টানা স্লোগান দেন তাঁরা। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরেও প্রসিডেন্ট জিনপিংয়ের ‘কোভিড শূন্য’ নীতির বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল গণবিক্ষোভ। এর পরই ওই নীতি থেকে কিছুটা সরে এসে লকডাউন শিথিল করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে হু হু করে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। যাঁর প্রতিবাদে ফের পথে নেমেছেন আম চিনা নাগরিকরা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আবারও নভেম্বরের মতো গণবিক্ষোভ দেখা যেতে পারে চিনে। এই আন্দোলন তারই ইঙ্গিত বহন করছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

    প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের? তাঁদের দাবি, কোভিড নিয়ে একের পর এক স্ববিরোধী নীতি নিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক আন্দোলনকারীর কথায়, “লকডাউন তোলার পরপরই বহু মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু কোভিড কিটের স্বল্পতা থাকায় টেস্টিং বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। শুধু তাই নয়, প্রথম চোটে সবাইকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। তখন কোনও কোভিড আক্রান্ত রাস্তায় বের হলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছিল। এখন করোনার উপসর্গ থাকলেও তাঁকে কাজে যেতে বলা হচ্ছে।” এই কারণেই কোভিড দ্রুতহারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    অন্যদিকে চিনের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Weibo-তে শুরু হয়েছে হ্যাশট্যাগ আন্দোলন। সেখানে বিদেশ থেকে ফেরা এক ব্যক্তি তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, “বিদেশে থাকাকালীন আমি কোভিডে আক্রান্ত হইনি। দেশে ফেরার পর সংক্রমিত হয়ছি। বর্তমানে দেশের প্রায় সকলের শরীরেই ফ্লুর সংক্রমণ রয়েছে। টেস্ট করলে সবাইকেই করোনা আক্রান্ত হিসেবে পাওয়া যাবে।” কিন্তু এই অবস্থায় সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তিনি।

    অন্যদিকে কোভিড পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে দাবি করেছে শি জিনপিং প্রশাসন। তবে দৈনিক সংক্রমণের পরিমাণ যে কিছুটা বেড়েছে মেনে নিয়েছেন তাঁরা। গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বেজিং। যদিও চিন তথ্য লুকাচ্ছে বলে দাবি করেছে বিশ্বের একাধিক দেশ।
  • Link to this news (এই সময়)