মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল জানান, এমনিতেই হাওড়া জেলায় এখন করোনা সংক্রমণ নেই। তবুও পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তাঁরা সতর্ক আছেন। বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। কারও শরীরেই সংক্রমণ মেলেনি। একইসঙ্গে অবশ্য ওই স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ‘‘তবে, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের সবাইকে আগাম সতর্ক হতে হবে। মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলতে হবে। আপাতত আমরা এই দু’টি বিষয়ের উপরেই জোর দিচ্ছি। পরে রাজ্য সরকার যেমন নির্দেশ দেবে, তেমনটি করা হবে।’’
শীতে হাওড়ার নানা প্রান্তে চড়ুইভাতি শুরু হয়ে গিয়েছে। চলছে মেলা, নাট্যোৎসব। করোনার জন্য যা প্রায় দু’বছর বন্ধ ছিল বা নিয়ন্ত্রিত ছিল। এ বার এখানে করোনারচোখরাঙানি না-থাকায় বছরের শেষে এবং আগামী বছরের গোড়ায় চড়ুইভাতি, মেলা বা নাট্যোৎসবে বাঁধভাঙা ভিড় হবে বলেই অনুমান করছেন অনেকে। তা থেকে যাতে সংক্রমণ না শুরু হয় সেটাই সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে বলে মনে করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
গোটা দেশের সঙ্গে হাওড়া জেলাতেও দু’দফায় করোনা ভুগিয়েছে। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল, নিমদিঘি ইএসআই হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছিল। জেলার গ্রামীণ এলাকা জুড়ে করা হয় ‘সেফ হোম’। এ বারে এখনও পর্যন্ত সেইসব কর্মযজ্ঞের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।