চলবে বাঘশুমারি, ১১-১২ ডিসেম্বর সুন্দরবনের একাংশে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
আনন্দবাজার | ০৯ নভেম্বর ২০২৫
আগামী ১১ ও ১২ ডিসেম্বর পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকছে সুন্দরবনে জলপথে ভ্রমণ। ওই দু’দিন কোনও বোট বা লঞ্চ পর্যটকদের নিয়ে জঙ্গলে প্রবেশ করতে পারবে না। সুন্দরবন টাইগার রিজ়ার্ভ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বাঘশুমারির প্রথম পর্যায়ের কাজ চলবে এই দুই দিনে। সেই কারণেই পর্যটন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণের জন্য সুন্দরবনে শুমারি চালানো হয়। জঙ্গলের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো, বাঘের পায়ের ছাপ সংগ্রহ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক চিহ্ন বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই কাজ সম্পন্ন হয়। এ বছর শুমারির প্রথম পর্যায় শুরু হচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। কর্তৃপক্ষের মতে, পর্যটকদের যাতায়াত ও শব্দদূষণের কারণে শুমারির কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই পুরো জঙ্গল ওই দুই দিন পর্যটকবিহীন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
টাইগার রিজ়ার্ভের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ১১ ও ১২ ডিসেম্বর অনলাইন বুকিংও বন্ধ থাকবে। ফলে ওই সময়ে সুন্দরবনের যে কোনও পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরই বোট মালিক ও ট্যুর অপারেটরদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকেরই ওই দু’দিনের আগাম বুকিং ছিল। সুন্দরবন বোটমালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই পর্যটকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বুকিং বাতিল করা হচ্ছে এবং অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বোটমালিকদের দাবি, পর্যটন বন্ধ থাকায় তাঁদের আর্থিক ক্ষতি অনিবার্য। তা সত্ত্বেও পরিবেশ ও বন্যপ্রাণ রক্ষার স্বার্থে তাঁরা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছেন। বাঘশুমারির কাজ যেন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সেই আশাই এখন সুন্দরবনবাসীর। সুন্দরবনের বাঘশুমারি প্রায় প্রতি ৪ বছরে একবার হয়, তবে এর মধ্যে ছোট ছোট অঞ্চলভিত্তিক পর্যবেক্ষণ বা প্রাথমিক গণনা প্রায় প্রতি বছরই চালানো হয়, যেমন এই ডিসেম্বরের প্রথম পর্যায়ের কাজ।