‘এসআইআর আতঙ্কে’ মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই বিষপান! হুগলির সেই বধূর মৃত্যু এসএসকেএমে, তবে স্থিতিশীল ছ’বছরের শিশু
আনন্দবাজার | ১০ নভেম্বর ২০২৫
এনুমারেশন ফর্ম না-পেয়ে দুশ্চিন্তায় ছ’বছরের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন মা। মেয়েকে বিষ খাইয়েছিলেন, নিজেও তা খেয়েছিলেন। তাঁদের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সোমবার মৃত্যু হল হুগলির সেই বধূর। তবে তাঁর সন্তানের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই খবর পরিবার সূত্রে।
মৃতার নাম আশা সোরেন। তিনি ধনেখালি থানার অন্তর্গত সোমসপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কানানদীর বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, বছর দশেক আগে হরিপালে বিয়ে হয়েছিল আশার। সেখানে পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি ধনেখালিতে বাপের বাড়িতে ফিরে যান। মেয়েকে নিয়ে গত চার বছর সেখানেই থাকছিলেন। বাপের বাড়ির লোকেরা সকলে এনুমারেশন ফর্ম পেলেও, পাননি শুধু আশা। অন্য দিকে, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গেও যোগাযোগ নেই। ফলে সেখানে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হয়েছে কি না, তা জানারও উপায় নেই। পরিবারের দাবি, এ সব নিয়ে চিন্তা করতে করতেই মানসিক অবসাদে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বধূ।
শনিবার সকালে প্রথমে ধনিয়াখালি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল আশা এবং তাঁর মেয়েকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার সেখানেই মৃত্যু হয় আশার।
বধূর দাদা অমর মুর্মু বলেন, ‘‘বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই ভোটার তালিকায় বোনের নাম ছিল। এখানে কিছু না-থাকায় ও এসআইআর ফর্ম পায়নি। আমি বলেছিলাম অনলাইনে বার করে নিতে। কিন্তু খুবই দুশ্চিন্তায় ছিল কী হবে এই ভেবে।’’
বধূর বাপের বাড়িতে রবিবার গিয়েছিলেন ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র। তিনি বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি জানার পরেই দু’জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। সব রকম সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। আমরা পরিবারের পাশে আছি।’’