২২০৮ থেকে এক ধাক্কায় মাত্র ৭! রাজ্যে মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটারহীন বুথের সংখ্যা আরও কমল, কোন জেলায় কত?
আনন্দবাজার | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটার একজনও নেই, এমন বুথের সংখ্যা কমতে কমতে এ বার সাতে এসে দাঁড়াল। প্রথমে বলা হয়েছিল, রাজ্যের ২২০৮টি বুথে গত এক বছরে কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়নি বা সেখান থেকে কেউ অন্যত্র স্থানান্তরিত হননি। এই তথ্য এসেছিল জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের (ডিইও) দফতর থেকে। কিন্তু এর পর নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির কাছে রিপোর্ট তলব করে। তার পরেই সংখ্যা ক্রমশ কমতে শুরু করেছিল। বুধবার জানা গিয়েছিল, ২২০৮ নয়, এই ধরনের বুথের সংখ্যা রাজ্যে ৪৮০টি। বৃহস্পতিবার নতুন পরিসংখ্যান চলে এল। বলা হল, রাজ্যে এই মুহূর্তে মাত্র সাতটি এমন বুথ রয়েছে, যেখানে গত এক বছরে কোনও মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটারের হিসাব নেই।
কমিশনের তথ্য বলছে, এই ধরনের বুথ জলপাইগুড়িতে একটি, মালদহে দু’টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটি, হাওড়ায় একটি, পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি এবং পুরুলিয়ায় একটি করে রয়েছে। এই বুথগুলিতে যত ভোটারের এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়েছিল, সেগুলি সবই পূরণ করে জমা দেওয়া হয়েছে। কেউ মৃত, স্থানান্তরিত বা নিখোঁজ নেই। কারও নাম একাধিক জায়গাতেও নেই।
প্রথমে যে পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনাই ছিল এমন বুথের তালিকায় শীর্ষে। সেখানে ৭৬০টি বুথে মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটার কেউ নেই বলে দাবি করা হয়েছিল। এখন সেই সংখ্যা কমে হয়েছে মাত্র এক। কমিশন ডিইও-দের কাছে রিপোর্ট চাওয়ার পরেই পরিসংখ্যান পাল্টে গিয়েছে।
গত ৪ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা শুরু হয়েছে। ফর্ম পূরণের পর তা সংগ্রহের কাজও শেষের পথে। এই ফর্মগুলির তথ্য কমিশনের পোর্টালে আপলোড করছেন বুথ স্তরের আধিকারিকেরা (বিএলও)। কমিশন গোটা প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে। এনুমারেশন ফর্মের তথ্য পোর্টালে আপলোড করার শেষ দিন ১১ ডিসেম্বর। ১৬ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।