• Assam: NRC প্রক্রিয়া না হওয়া পর্যন্ত…, আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে কী বলছেন বিরোধীরা?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • উৎপল পরাশর

    বিধানসভা ও সংসদের আসন পুনর্বিন্যাসের আগে নির্বাচন কমিশনের এনআরসির জন্য অপেক্ষা করা দরকার। অসমের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এনিয়ে দাবি তুলতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন ১২৬টি বিধানসভা ও ১৪টি সংসদীয় আসনের পুনর্বিন্যাসের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। ২০০১ এর জনগননা অনুসারে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিকে এই পদ্ধতির মাধ্যমে আসনগুলির পুনরায় বিন্য়াস হতে পারে। কিন্তু অসমে আসন সংখ্য়া বেড়ে যাবে এমনটা নয়।

    অসম কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন কুমার বোরা জানিয়েছেন, ২০০৭-২০০৮ সালে কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপি ও অসম গণ পরিষদও রাজ্য়ে নতুন করে আসন পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল যতক্ষণ না পর্যন্ত এনআরসি না হয় ততক্ষণ এটা করা যাবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বিজেপি এই উদ্য়োগকে স্বাগত জানাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের মনে হচ্ছে হয়তো ওদের দল ভাবছে এনআরসির সমস্ত আপডেট হয়ে গিয়েছে।

    তিনি আরও জানিয়েছেন, নতুন করে আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে আমাদের কোনও ব্যাপার নেই। যদি এটা সঠিক পদ্ধতি মেনে হয়।তবে আমরা যদি দেখি এটা বিজেপিকে রাজনৈতিক সুবিধা করে দেওয়ার জন্য় করা হচ্ছে তবে তার প্রতিবাদ আমরা করব। আমরা আদালতের মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানাব। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আপত্তি জানাব।

    রাইজোর দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাসেল হুসেন বলেন, এনআরসি প্রসেস এখনও শেষ হয়নি। সেকারণে আসন পুনর্বিন্যাসও হয়নি।

    এদিকে ২০১৯ সালে যে চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল তাতে বিজেপি একেবারেই খুশি ছিল না। কিন্তু যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে আসন পুনর্বিন্যাস করার চেষ্টা করা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে বিজেপি রাজনৈতিক ফাযদার জন্য় এসব করতে চাইছে।

    এদিকে আসুর প্রধান উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, অসমের ভূমিপুত্রদের অধিকার যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় সেদিকে আমরা কড়া নজর রাখব।

    এদিকে ২০১৯ সালে অসমে চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল।৩৩ মিলিয়নের মধ্যে সেই সময় ১.৯ মিলিয়নের নাম বাদ পড়ে যায়। তাদের ভারতের নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহ থেকে গিয়েছিল।

    এদিকে একাধিক স্থানীয় সংগঠন এই তালিকাকে প্রত্যাখ্যান করে। ফের এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিল তারা। বর্তমানে সেই আবেদন পড়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিকে বিজেপি শাসিত সরকারও এই তালিকাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন তুলেছিল।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)