সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: আজ, বুধবার দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা ভোট। তার ২৪ ঘন্টা আগেই রাজনৈতিক উত্তাপে ফুটছে দার্জিলিং। মঙ্গলবার বিমল গুরুং, বিনয় তামাং ও অজয় এডওয়ার্ড একমঞ্চে বসে অনিত থাপার বিরোধিতায় সরব হয়ে পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ তৈরি করলেন। তৃণমূলে থেকেও বিনয় তামাংয়ের এই মঞ্চে থাকা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির ছয় কাউন্সিলারকে দলে নিয়ে অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা আনে। আজই সেই অনাস্থা ভোট। এনিয়ে এদিন অজয় এডওয়ার্ডের সঙ্গে একযোগে বিমল গুরুং, বিনয় তামাংরা নাম না করে অনীত থাপার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কিনে পাহাড়ের গণতন্ত্রকে বিপন্ন করার অভিযোগ করেন। পাহাড়ের গণতন্ত্রকে বাঁচাতেই অজয় এডওয়ার্ডের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন বলে জানান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং এবং তৃণমূলের বিনয় তামাং।
বুধবার দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা ভোটের জন্য পুরসভা লাগোয়া এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড বলেন, ১৪৪ ধারা জারি হলেও আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে এবং চলবে। যদি কেউ বাধা দিতে আসে তাহলে আমাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তবে বিরোধীদের এই আন্দোলনকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছে না অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। দলের মুখপাত্র কেশবরাজ পোখরেল বলেন, ওঁরা বিপদে পড়লেই গোর্খাল্যান্ড ও গোর্খাদের কথা বলেন। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই এসব করছেন। বুধবার অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর সবাই লুকিয়ে পড়বেন।
এদিন বিনয় তামাং বলেন, এই ভোটে পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সঞ্জয় গুরুংকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। যদি সঞ্জয় নিরপেক্ষ না থাকেন, তাহলে আমার রাজনৈতিক অবস্থানেরও পরিবর্তন হতে পারে। আমার এই অবস্থান অনেক আগেই চিঠি দিয়ে কলকাতায় তৃণমূল হাইকমান্ডকে জানিয়ে দিয়েছি। পাহাড়ের গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থেই তিনি এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন বলে জানান।