• দিল্লি থেকে তৃণমূলের মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেপ্তার গুজরাত পুলিসের
    বর্তমান | ৩০ ডিসেম্বর ২০২২
  • নয়াদিল্লি: ফের তৃণমূলের মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেপ্তার করল গুজরাত পুলিস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির চাণক্যপুরীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিথিশালা বঙ্গভবন থেকে গোখলেকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, নিয়ম মাফিক গুজরাত পুলিস তাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিল। যদিও কোন মামলায় কী অভিযোগের ভিত্তিতে এই তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা জানায়নি রাজধানীর পুলিস। এর আগে এদিনই গোখলে জানিয়েছিলেন,চলতি মাসের গোড়ায় তাঁর গ্রেপ্তারি নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গুজরাত পুলিসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। 

    উল্লেখ্য, গুজরাতে বিধানসভা ভোটের আগে মোরবিতে সেতু দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনা নিয়ে একটি টুইটের জন্য চলতি মাসের গোড়ায় চারদিনের ব্যবধানে ওই রাজ্যের পুলিস তাঁকে দু’বার গ্রেপ্তার করেছিল। গত ৩০ নভেম্বর মোরবির সেতু বিপর্যয়ে ১৪১ জনের মৃত্যু হয়। এরপর দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একটি আরটিআইয়ের উত্তর টুইট করে গোখলে দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের জন্য ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। পরে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো জানিয়ে দেয়, এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুয়ো। 

    এরপরই গত ৫ ডিসেম্বর  রাজস্থানের জয়পুরে গোখলেকে আটক করে গুজরাত পুলিস। এ ব্যাপারে রাজস্থান পুলিসকে কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। তারপর তাঁকে আমেদাবাদে নিয়ে এসে গ্রেপ্তার করেছিল গুজরাত পুলিস।  তৃণমূল মুখপাত্রকে পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ৮ ডিসেম্বর তাঁকে জামিন দেয় আমেদাবাদের আদালত। মোরবিতে দায়ের হওয়া অন্য একটি মামলার জেরে ওই দিনই দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তার হন এই তৃণমূল নেতা। পরদিন ৯ ডিসেম্বর জামিন পান তৃণমূল মুখপাত্র।  এই ঘটনা প্রসঙ্গে এদিনই গোখলে জানিয়েছিলেন যে, তাঁকে বেআইনিভাবে আটকের জন্য গুজরাত পুলিসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে  মানবাধিকার কমিশন। তাঁকে আটক ও গ্রেপ্তারিতে বিধিভঙ্গের অভিযোগ জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র। সেই আবেদন মেনে  মামলা দায়ের করেছে কমিশন। এই নিয়ে তৃণমূল নেতা সাকেতের টুইটে জানান, ‘স্থানীয় পুলিসকে না জানিয়ে এবং ট্রানজিট রিমান্ড ছাড়া আমাকে বেআইনিভাবে আটক করে জয়পুর থেকে আমেদাবাদ নিয়ে গিয়েছিল পুলিস।’ এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, আদালতে তোলার আগে ২৮ ঘণ্টা তাঁকে হেফাজতে রেখেছিল গুজরাত পুলিস। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টার বেশি কাউকে এইভাবে হেফাজতে রাখা যায় না। 
  • Link to this news (বর্তমান)