কাশ্মীর পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নিহত জঙ্গিদের মধ্যে ১০৮ জনই লস্কর-এ-তইবার। তার পরেই রয়েছে জইশ-এ-মহম্মদ। ওই গোষ্ঠীর ৩৫ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। হিজবুল মুজাহিদিনের ২২ জন জঙ্গি, আল-বদরের চার জন, আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দের তিন জন জঙ্গি নিহত। এই তথ্য দিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের এডিজি।
পুলিশের তথ্য বলছে, এ বছর জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ১০০ জন জঙ্গিদলে নাম লিখিয়েছে। গত বছরের তুলনায় ৩৭ শতাংশ কমেছে যোগদান। নতুন নিযুক্তদের মধ্যে ৬৫ জন জঙ্গিই নিহত। ১৭ জন গ্রেফতার হয়েছেন। ১৮ জন এখনও সক্রিয়। পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের ‘জীবনকাল’ অনেকটাই কমেছে কাশ্মীরে। চলতি বছর জঙ্গিদলে যোগ দেওয়ার পর প্রথম মাসেই ৮৯ শতাংশকে নিরস্ত্র করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, উপত্যকাবাসীর উন্নয়নের জন্যই সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে হবে। সন্ত্রাসবাদের ‘বাস্তুতন্ত্রে’ আঘাত হানতে হবে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আধিকারিকদের কড়া মনোভাব নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। চলতি বছরে জঙ্গিদের হাতে কত জন নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছে, তা অবশ্য প্রকাশ করেনি কাশ্মীর পুলিশ।