• Delhi Car Horror : দিল্লিকাণ্ডে তরুণীকে বাঁচাতে পারতেন সঙ্গী? বিপদে পালিয়ে যাওয়া 'বন্ধু'-র খোঁজে পুলিশ
    এই সময় | ০৩ জানুয়ারি ২০২৩
  • শীতের ভোরে গাড়ির চাকায় আটকে যাওয়া তরুণীতে টেনে নিয়ে যাচ্ছে গাড়ি! ১২ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে মত্তদের তাণ্ডবের সাক্ষী হয়েছে দিল্লি। কানঝাওয়ালার (Kanjhawala) বিভীষিকার তদন্তে এবার নতুন মোড়। ঘটনার দিন বাড়ি ফেরার সময় নিহত তরুণীর সঙ্গে তাঁর এক বন্ধুও ছিলেন। কাজ সেরে বন্ধুকে নামিয়ে বাড়িতে ফেরার কথা ছিল তরুণীর। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কানঝাওয়ালায় অভিযুক্তদের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগার সময়ও স্কুটিতে তরুণীর সঙ্গে ওই বন্ধু ছিলন। তিনিও দুর্ঘটনায় আহত হন বলে খবর। প্রশ্ন উঠছে দুর্ঘটনার পর কোথায় গেলেন তিনি? সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার পর আতঙ্কে এলাকা ছাড়েন ওই বন্ধু। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বন্ধুর খোঁজ শুরু হয়েছে। তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার পরে দুর্ঘটনা হয়েছে কিনা সেটাও যাচাই করে দেখা হচ্ছে। রবিবার সকালে গাড়ির চাকায় আটকে থাকা তরুণীকে টানতে টানতে নিয়ে যেতে দেখে এক প্রত্যক্ষদর্শীই পুলিশকে প্রথম খবর দেন।

    কোথায় গেলেন তরুণীর বন্ধু?

    ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী বছর কুড়ির ওই তরুণী বর্ষবরণের রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। নিহত তরুণীর মা জানিয়েছেন ভোর রাতেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল মেয়ের। তবে, তার আগেই ভয়য়ঙ্কর ঘটনা। সূত্রের খবর অভিযুক্তদের গাড়ির অ্যাক্সেলে তরুণীর একটি পা আটকে যায়। কোনও দিকে ভ্রুক্ষেপ না করেই গাড়ি ছোটাতে শুরু করেন মত্ত অভিযুক্তরা। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে দাবি, দুর্ঘটনায় সামান্য আহত হন তরুণীর বন্ধুও। তবে, ঘটনা স্থলে আর তাঁকে দেখা যায়নি। বরং এক প্রত্যক্ষদর্শীই প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে গাড়িটিকে পিছু ধাওয়া করে খবর দেন।

    দিল্লিকাণ্ডে প্রশ্নে পুলিশের ভূমিকা

    রবিবার ভোর তিনটে ২০ মিনিট নাগাদ প্রথম পুলিশকে খবর দেন প্রত্যক্ষদর্শী দীপক দাহিয়ার (Deepak Dahiya)। নিজের মোটর সাইকেল নিয়ে গাড়িকে অনুসরণ করেন তিনি। চার-পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় একই রাস্তা দিয়েছে বারবার ঘুরেছে গাড়িটি। প্রশ্ন উঠেছে তার পরেও কেন গাড়িটির নাগাল পেল না পুলিশ।

    ভোট চারটে কিছু পরে রাস্তায় তরুণীর বিবস্ত্র দেহ পড়ে থাকার খবর আসে তাঁদের কাছে। নিছক দুর্ঘটনায় এভাবে মেয়ের পোশাক ছিঁড়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তুলেছেন তরুণীর মা। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুলিশের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় । দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)