এ দিন মিছিলে থাকা বিশরী পঞ্চায়েতের ইচাডি গ্রামের বাসিন্দা গোলকবিহারী মাহাতো বলেন, ‘‘আবাস যোজনার তালিকায় থাকা ১২৮ জনের নাম প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেটে দেওয়ার প্রতিবাদে তাঁরা পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা পদত্যাগ করলে সমস্যা তো মিটবে না। বরং তাঁরা না থাকলে পঞ্চায়েত থেকে কোনও সহায়তা মিলবে না। তাই আমাদের অনুরোধ, তাঁরা ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করে অফিসে বসুন।’’ মিছিলে হাঁটা আর এক বাসিন্দা মানপুর গ্রামের প্রতিমা বাউরি বলেন, ‘‘দিলীপদার কাছে গেলে তিনি আমাদের সাহায্য করেন। তেমনই পঞ্চায়েতে জনপ্রতিনিধিরা না থাকলে আমরা কার কাছে সাহায্য পাব? আমাদের দাবি, তাঁরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন।’’
বিশরী পঞ্চায়েতের প্রধান সজ্জিতা বেসরা বলেন, ‘‘আইনি প্যাঁচে নাম কাটা গেলেও তাঁরা আবাস যোজনার যোগ্য প্রাপক। পদে থেকেও যদি তাঁদের সহায়তা করতে না পারি, তাহলে পদে থেকে লাভ কি? সে কারণে ইস্তফা দিয়েছি। তবে এত জন মানুষ আমাদের ভালবেসে রাস্তায় নেমেছেন, দেখি কী করা যায়।’’
মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি দিলীপও বলেন, ‘‘আমাদের পদে ফেরাতে এত মানুষ রাস্তায় নেমেছেন দেখে অভিভূত। তাঁদের অনুরোধ রাখা সম্ভব কি না, দলের বাকিদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।’’
পুঞ্চার বাসিন্দা তথা বিজেপির জেলা সম্পাদক জনপ্রিয় ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘সবটাই তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের লোকদেখানো নাটক।’’ যদিও দিলীপের দাবি, ‘‘নায্য দাবিতে লড়াই করে আসছি। আগামী দিনেও তা-ই করব।’’