• আলিয়ার ছাত্র মৃত্যু কাণ্ডে আটক ৩, দুর্ঘটনার সময় কোন প্রভাবশালী ছিলেন গাড়িতে?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ জানুয়ারি ২০২৩
  • আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পথ দুর্ঘটনার জেরে সোমবার ছাত্র বিক্ষোভের সাক্ষী ছিল নিউটাউন। ঘটনায় বারবারই উঠছে প্রভাবশালী তত্ত্ব। অভিযোগ, দুর্ঘটনায় জড়িত গাড়িটি চালাচ্ছিলেন কোনও প্রভাবশালী। এবং পুলিশ জেনে বুঝেই সেই ব্যক্তিকে আড়াল করছে। অবিলম্বে মূল দোষীকে গ্রেফতার করার দাবিতে গতকাল উত্তাল হয় নিউটাউন এলাকা। এদিকে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের পুলিশ সুষ্ঠ তদন্তের আশ্বাস দেয়। তবে ঘটনার সিসিটিভ ফুটেজ দেখাতে পারেনি পুলিশ। যদিও ঘটনায় জড়িত গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সেই গাড়ির সামনে আবার 'প্রেস' লেখা। এদিকে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে বিধাননগর পুলিশ তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত এই তিনজনকে জেরা করে পুলিশ। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ম্যানেজার পদমর্যাদার ব্যক্তি, একজন চালক রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে দুর্ঘটনার সময় স্টিয়ারিংয়ের পিছনে কে ছিলেন, তা এখনও খোলসা করে বলেনি পুলিশ। যা নিয়ে ক্ষোভ বেড়েছে প্রতিবাদী ছাত্রদের মধ্যে।

    এই আবহে গত সন্ধ্যায় বিশ্ব বাংলা গেট থেকে কিছুটা আগে রাস্তায় বসে পড়েন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, পুলিশ ঘাতক গাড়িটি আটক করেছে বলছে। কিন্তু কোনওভাবেই মালিকের নাম প্রকাশ্যে আনছে না। অবিলম্বে দুর্ঘটনার সিসি ক্য়ামেরা ফুটেজ সামনে আনার দাবিতে সরব হলেন তারা। এদিকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কাজ চলার কারণে সিসি ক্যামেরা বন্ধ রাখা হয়েছিল। তাই ঘটনার সময়কার ছবি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে মন্ত্রীর আশ্বাস দোষীরা শীঘ্রই ধরা পড়বে।

    পুলিশ দাবি, রুবির কাছে একটি গ্যারাজে ঘাতক গাড়িটির সন্ধান মিলেছে। তদন্তের স্বার্থেই পুলিশ মালিকের নাম প্রকাশ করতে চাইছে না তারা। ছাত্রদের অভিযোগ গাড়ির মালিক প্রভাবশালী বলেই তাঁর নাম প্রকাশ করেছ না পুলিশ। প্রসঙ্গত রবিবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেক ইকো স্পেসের দিকে যাচ্ছিলেন এক ছাত্র। সেই সময় একটি বেপরোয়া গাড়ি তাকে ধাক্কা দিয়ে পালায়। মৃতের নাম শাকিল আহম্মদ। তিনি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের ছাত্র ছিলেন। এই আবহে শাকিলের জন্য সুবিচারের দাবিতে রাস্তায় নামেন তাঁর শহপাঠীরা। এই বিষয়ে ফিরহাদ বলেন, 'ছাত্ররা অবাস্তব দাবি করছে। পুলিশকে আগে কেসটা বানাতে হবে। তথ্য-প্রমাণ ছাড়া আদালতে গেলে পুলিশকে অপদস্ত হতে হবে। যে কাউকে ধরে আনলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলবে না। পুলিশ যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। কিছুটা সময় দিতে হবে তাদের। ছাত্রদের এটা বুঝতে হবে।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)