• Sumitra Sen Death: রবীন্দ্রসুরে ভাসিয়েছেন দর্শকদের, ফিরে দেখা অনন্য সুমিত্রাকে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ জানুয়ারি ২০২৩
  • ৩ জানুয়ারি ভোরবেলা প্রয়াত হন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন। বহুদিন ধরেই নানা বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। শেষে ডিসেম্বরে ঠাণ্ডা লেগে ব্রঙ্কো- নিউমোনিয়া হয়ে যায় তাঁর। সঙ্গীত শিল্পীর প্রয়াণে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকবার্তা জানিয়েছেন।

    বহুদিন ধরেই নানা রোগে ভুগছিলেন গায়িকা। এরপর ডিসেম্বর অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগার ফলে জ্বর হয়, সঙ্গে বুকে সর্দি বসে যায়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে ২১ ডিসেম্বর কলকাতার মিন্টো পার্কের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি সেখানে। এরপর গতকাল তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। গায়িকার পরিবার চেয়েছিল যাতে শেষ সময়টা তিনি বাড়িতেই সকলের মাঝে থাকতে পারেন। তাঁরও সেই রকমই ইচ্ছা ছিল। ২ জানুয়ারি দুপুরে তাঁকে বাড়িতে আনা হয়। এরপর ৩ জানুয়ারি ভোর ৪টে নাগাদ পরলোক গমন করেন সুমিত্রা সেন। তাঁর মৃত্যুর খবর তাঁর কনিষ্ঠা কন্যা শ্রাবণী ফেসবুকে পোস্ট করে জানান। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আজ মা ভোরে চলে গেল।’

    হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, দেবব্রত বিশ্বাস, সুচিত্রা মিত্র, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গান করেছেন তিনি। কাজ করেছেন উস্তাদ আলি আকবর খান, পণ্ডিত রবিশঙ্কর, রবীন চট্টোপাধ্যায়, ভি বালসারা, তিমির বরণ, সলিল চৌধুরী, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। শুরুটা হয়েছিল ১৯৫১ সালে কুমারী সুমিত্রা দাশগুপ্ত নামে দু’টি নজরুলগীতি রেকর্ড করে। নজরুলগীতি ছাড়াও পল্লিগীতি, আধুনিক গানও গেয়েছেন। অবশ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবেই তাঁর অধিক পরিচিতি। দেড়শোরও বেশি রবীন্দ্রনাথের গান রেকর্ড করেছেন তিনি। ষোলোটি ছবিতে রবীন্দ্রসঙ্গীতে প্লে-ব্যাক করেছেন। উত্তমকুমারের অনুরোধে ১৯৬০ সালে ‘শুন বরনারী’ ছবি দিয়ে সিনেমার কাজ শুরু করেন। পঙ্কজকুমার মল্লিকের পরিচালনায় ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র গানে (মাগো তব বীণে সঙ্গীত)-এ গান গেয়েছিলেন। মহালয়ায় সেই কণ্ঠ এখনও শুনতে পারবে বাঙালি, যা থেকে যাবে সারাজীবন। 

    গান গেয়েছেন ‘শ্যামা’, ‘শাপমোচন’, ‘বাল্মীকি প্রতিভা’, ‘বর্ষামঙ্গল’, ‘বসন্ত’ বা ‘মায়ার খেলা’ নৃত্যনাট্য ও গীতিনাট্যে। গীতি আলেখ্য ‘যায় দিন শ্রাবণ দিন যায়’-এও কণ্ঠ দিয়েছেন।  

    পেয়েছেন ‘সঙ্গীত-নাটক অ্যাকাডেমি’ পুরস্কার। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১২ সালে সঙ্গীত মহাসম্মান প্রদান করেছে। তাঁর দুই মেয়ে- ইন্দ্রাণী সেন ও শ্রাবণী সেনও বাংলার সঙ্গীত জগতে ছাপ ফেলেছেন। মায়ের পথে হেঁটে রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চাই করে গিয়েছেন ছোট মেয়ে শ্রাবণী সেন, ইন্দ্রাণী সেন অবশ্য সব ধরনের গানেই নিয়েই ছাপ রেখেছেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)