• সমীক্ষার নির্দেশের বিরোধিতা, মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমি মামলায় আদালতে মুসলিম পক্ষ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ জানুয়ারি ২০২৩
  • মথুরার জেলা আদালত গত জিসেম্বরে শাহি ইদগাহ মসজিদের সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার পালটা আবেদন দায়ের করল ইদগাহ পরিচালন সমিতি। ইদগাহ পরিচালনা সমিচির সচিব তথা আইনজীবী তনভির আহমেদ এই বিষয়ে বলেন, 'আমরা সোমবার মথুরার অতিরিক্ত সিভিল জজের কাছে আবেদন করেছি এই সমীক্ষার নির্দেশের বিরুদ্ধে। আমরা সমীক্ষার সেই আদেশের বিরুদ্ধে আমাদের আপত্তির কথা দাখিল করেছি আদালতে। আদালতকে আমরা অবহিত করেছি যে ভুল তথ্য জানিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করে আবেদনকারী (হিন্দু পক্ষ) সমীক্ষার নির্দেশ আদায় করে নেয়।' এদিকে তনভিরের অভিযোগ, সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়ার আগে তাদের যুক্তি শোনা হয়নি। এদিকে হিন্দু পক্ষের আইনজীবী সন্দীপ শর্মা জানিয়েছেন, সমীক্ষার বিরোধিতায় দাখিল করার আবেদনের কোনও কপি তাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি।

    হিন্দু পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন বিতর্কিত স্থানের সমীক্ষার আদেশ জারি করেছিলেন গত মাসে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ জানুয়ারি। সেদিনই সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে আদালতের তরফে। এর আগে গতবছরই বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে এই ধরনেরই এক সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই একই ধরনের একটি সমীক্ষা হতে চলেছে মথুরার ইদগাহ মসজিদে। আবেদনকারীদের দাবি, শাহি ঈদগাহ মসজিদের ভেতরে ওম, স্বস্তিক এবং শেষনাগ সহ হিন্দু ধর্মের অবশিষ্টাংশ এখনও রয়েছে যা প্রমাণ করতে পারে যে এটি মূলত ঠাকুর কেশব দেব মন্দির ছিল।

    উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মথুরায় শ্রী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। এই আবহে বিগত দিনে এই মন্দির সংলগ্ন শাহি ইদগাহ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মথুরার শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমিতে মন্দিরের কাছে যে মসজিদটি আছে, তা হিন্দুদের কাছে হস্তান্তর করার দাবি উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে কয়েক দিন আগেই মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত সেই মসজিদ এলাকায় সমীক্ষার জন্য অ্যাডভোকেট কমিশনরকে নিয়োগের পিটিশন দায়ের হয় আদালতে। মামলার আবেদনকারীরা হলেন ডানপন্থী সংগঠন হিন্দু সেনার দিল্লি শাখার সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত এবং সংগঠনের সহ-সভাপতি তথা গুরুগ্রামের বাসিন্দা সুরজিৎ সিং যাদব। তাঁরা ভগবান বাল কৃষ্ণ বিরাজমান ঠাকুর কেশব দেবজি মহারাজের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন।

    এর আগে ভগবান কৃষ্ণের বন্ধু হিসাবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ইদগাহ মসজিদের জমি বিবাদ নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। সিভিল কোর্ট মামলাটি তখন খারিজ করে দিয়েছিল। এরপর জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হলে প্রায় দেড় বছর ধরে শুনানি চলে এর। মামলায় সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড, ট্রাস্ট মসজিদ ইদগাহ, শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্ট এবং শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি সেবা সংস্থাকে পক্ষ করা হয়েছিল। চলতি বছর মে মাসে সেই মামলা গৃহীত হয় আদালতে। দাবি করা হয়, শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমির মোট ১৩.৩৭ একর জমির মধ্যে ১১ একর জমিতে শ্রী কৃষ্ণ জন্মস্থান প্রতিষ্ঠিত। শাহি ইদগাহ মসজিদটি ২.৩৭ একর জমির উপর নির্মিত। এই ২.৩৭ একর জমি দখলমুক্ত করে শ্রী কৃষ্ণের জন্মস্থানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে আবেদনে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)