• সামশেরগঞ্জের গঙ্গা ভাঙন পরিদর্শনে ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী, বিক্ষোভ স্থানীয়দের
    এই সময় | ০৩ জানুয়ারি ২০২৩
  • West Bengal News : সামশেরগঞ্জ তথা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গঙ্গা নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দীর্ঘদিনের এক জ্বলন্ত সমস্যা। দিনের পর দিন ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটে মাটি, স্কুল, ধর্মীয় স্থান, মাথার ওপর ছাদ হারিয়েছেন অজস্র মানুষ। দিন বদলেছে, বছর পেরিয়েছে, সরকার এসেছে, আবার সরকার বদলেও গিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় মানুষ পেয়েছেন শুধুই প্রতিশ্রুতি। কাজের কাজ হয়নি বলতে গেলে কিছুই। রোজই একটু একটু করে জমি চলে যাচ্ছে গঙ্গা বক্ষে। প্রচুর রাজনীতিবিদ এসে এই গঙ্গা ভাঙন চাক্ষুষ করে গিয়েছেন, দিয়েছেন সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি। এবার এই ভাঙন কবলিত এলাকা নিজে এসে দাঁড়িয়ে দেখে গেলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।

    মঙ্গলবার সামশেরগঞ্জের (Shamshergunj) ভাঙন কবলিত ঘনশ্যামপুর, দেবীদাসপুর, ডিস্কোমোড়, প্রতাপগঞ্জ এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। কথা বলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষকে কলকাতাতে গিয়ে গণ আন্দোলনের ডাক দেন ISF-এর বিধায়ক। এদিন সামশেরগঞ্জের (Shamshergunj) তিনপাকুরিয়া অঞ্চলের পশ্চিম দেবীদাসপুর এলাকায় জনসভায় সামিল হন তিনি। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ISF-এর স্থানীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব। জনসভায় সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। জনসভা থেকে ভাঙন নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে একহাত নেন ভাঙড়ের বিধায়ক।

    জনসভায় উপস্থিত থেকে গঙ্গা ভাঙন সমস্যার সমাধান, ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসন, ভাঙন প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ সহ একাধিক দাবি নিয়ে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে স্মারকলিপি প্রদান করে প্রতিরোধ কমিটি। মঙ্গলবার সামশেরগঞ্জের (Shamshergunj) তিনপাকুরিয়া অঞ্চলের দেবীদাসপুর এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন সামশেরগঞ্জ গঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল হামিদ সহ অন্যান্য সদস্যরা। জনসভায় দাঁড়িয়ে নওশাদ বলেন, "বিধানসভার শেষ অধিবেশনে নদী ভাঙন নিয়ে একটি বিল পাশ হয়েছে। খুব শীঘ্রই (West Bengal Government) একটি প্রতিনিধি দল এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলবে।"

    স্থানীয় এক বাসিন্দা এই বিষয়ে জানান, "বিগত তিন বছর ধরে গঙ্গা ভাঙন হচ্ছে। কিন্তু প্রতিরোধের কোনও ব্যবস্থা নেই। তুলনামূলক ভাবে এখন বাঁধার সুযোগ রয়েছে, জল কম রয়েছে। কিন্তু সেই কাজ শুরু হয়নি। বহু জায়গায় ফাটল ধরে রয়েছে, পরিস্থিতি হাতের বাইরে গেলে সব কিছু হারাতে হবে আমাদের। কাউকে কিছু বলতে গেলেই মামলার জালে জর্জরিত হতে হয়। প্রশাসনকে ভালো ভাবে দৃষ্টিপাত করার অনুরোধ রাখছি।"
  • Link to this news (এই সময়)