• ভাঙচুরের পর খুলল সিমলাপালের তৃণমূল কার্যালয়, নামমাত্র উপস্থিতি কর্মীদের
    এই সময় | ০৩ জানুয়ারি ২০২৩
  • Bankura : দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের প্রায় ২৪ ঘন্টা পর ড্যামেজ কন্ট্রোলে আসরে নামল তৃণমূল। মঙ্গলবার ব্লক সভাপতি ফাল্গুনী সিংহর উপস্থিতিতে খোলা হল 'তালাবন্ধ' সিমলাপাল ব্লক কার্যালয় (Simlipal Tmc Party Office)। ভাঙচুরের ঘটনার পর এদিন দলীয় কার্যালয় খোলার সময় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল নিতান্তই হাতে গোনা। অঞ্চল সভাপতি নিয়ে ক্ষোভের কারণেই দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর হয়, বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান হয়েছে বলে জানান ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফাল্গুনী সিংহ। প্রসঙ্গত, গত সোমবার দলের অঞ্চল সভাপতি নিয়োগ ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দা তথা দলের জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহমহাপাত্র ওরফে 'পুটক্যা'র বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেয় দলের কর্মীরাই। সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে (Simlipal Tmc Party Office) ভাঙচুর চালায় একদল নেতা কর্মী। এমনকি ওই কার্যালয়ে তালা বন্ধও করে দেন তাঁরা। এদিন বন্ধ কার্যালয় খোলার পর ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফাল্গুনী সিংহ সাংবাদিকদের বলেন, "কিছু কর্মীর অঞ্চল সভাপতি নিয়োগ নিয়ে জিজ্ঞাসা ছিল। ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। দলীয় কর্মসূচীতে কলকাতায় ছিলাম। যা ঘটনা ঘটার 'ক্ষোভে'র কারণেই হয়েছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।" তবে ঘটনার প্রভাব আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পড়বে না বলেই তিনি দাবি করেন।

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে ওই কর্মীদের দাবি ছিল, দলের যে সমস্ত অঞ্চল সভাপতিরা গত নির্বাচনে সংগঠনের কোনও কাজ করেননি। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড দুর্নীতিগ্রস্থ সেসব নেতাদেরই পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে সরব হন তাঁরা। তবে বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি নিখিল চন্দ্র সিংহ মহাপাত্র আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁদের দলে ব্যক্তি কেউ নয়। তাই তৃণমূলের নামে যারা দলীয় কার্যলয়ে ভাঙচুর করেছে তারা দলের কেউ নয়। তারা দুষ্কৃতী। দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

    উল্লেখ্য, গত রবিবারই বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি জেলার অঞ্চল নাম ঘোষণা করেন। নতুন অঞ্চল সভাপতির নাম ঘোষণার একদিনের মধ্যেই এই ঘটনা। তবে এই বিষয়ে BJP-র সিমলাপাল মণ্ডল-১ সভাপতি অলোক মহান্তী বলেন, “তৃণমূলে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। তৃণমূল মানেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ওদের যে কোনটা ব্লক অফিস, কোনটা বিধায়ক কার্যালয় কিছুই বুঝতে পারবেন না। এভাবেই একদিন তৃণমূল রাজ্য থেকে সমুলে উৎপাটিত হবে।”
  • Link to this news (এই সময়)