সোমবার পন্থকে আইসিইউ থেকে একটি আলাদা কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সংক্রমণের আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে খবর, আলাদা কেবিনে দেওয়ার পর থেকে শরীরে যন্ত্রণা বেড়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারের। তাঁর বেশির ভাগ সময় বিছানায় কাটছে। এখনও হাঁটু, গোড়ালি প্রভৃতি জায়গায় এমআরআই করা যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। কেন শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলে রয়েছে, সেই বিষয়ে চিকিৎসকেরা এখনও কিছু জানাননি।
পন্থের চিকিৎসার দায়িত্ব বিসিসিআইয়ের। হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে তারা। বিসিসিআই চাইছে, দেহরাদূন থেকে দিল্লি বা মুম্বইয়ের কোনও হাসপাতালে এনে পন্থের চিকিৎসা করাতে। ভারতীয় ক্রিকেটারের হ্যামস্ট্রিং ছিঁড়েছে। সেই চিকিৎসার জন্য পন্থকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া যায় কি না তা নিয়েও আলোচনা করছে বিসিসিআই। তবে সবার আগে পন্থের শরীরে চোটের সঠিক অবস্থা জানতে হবে। তার জন্য গোটা শরীরে এমআরআই করা প্রয়োজন। সেটা এখনও করা যাচ্ছে না।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখন পন্থের বিশ্রামের প্রয়োজন। কিন্তু সেটাই হচ্ছে না তাঁর। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভারতীয় ক্রিকেটারের পরিবার। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে পন্থকে দেখতে এসেছেন রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী, ক্রীড়া আধিকারিক থেকে শুরু করে অভিনেতা। হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে দেখা করার জন্য বরাদ্দ সময়ের বাইরেও আসছেন তাঁরা। তাতেই সমস্যা হচ্ছে।
পন্থের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল দলের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘এখন পন্থের বিশ্রামের প্রয়োজন। শুধু শারীরিক কারণে নয়, মানসিক সুস্থতার জন্যও পন্থ যত বেশি বিশ্রাম করতে পারবেন, তত ওঁর পক্ষে ভাল। এখনও ওঁর ক্ষত টাটকা রয়েছে। যাঁরা দেখতে আসছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে পন্থকে। এতে উনি আরও দুর্বল হয়ে পড়ছেন। তাই এখন ওঁর সঙ্গে দেখা করতে আসা উচিত নয়। সেটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।’’